হাইকোর্টের নির্দেশে খর্ব হচ্ছে বাক স্বাধীনতা। ডিভিশন বেঞ্চে এই আর্জি জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে। এদিকে রাজ্যপাল তাঁর বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা করেছেন, সেটি গড়িয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মানহানিকর বা অসত্য মন্তব্য করা যাবে না। এবার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই মামলার শুনানিতেই বাক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কথা বলেন মমতার আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে বলে রাখতেই হয়, রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই ওই মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
এদিকে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মূল অভিযোগ ছিল সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে। সুপ্রিম কোর্টে আদৌ কোনও রক্ষাকবচ আছে কি না, তা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।’ একইসঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাবলিক ডোমেনেই অভিযোগ উঠেছে। আর এরই প্রেক্ষিতে তিনি জানতে চান এখানে অসত্য কোথায় তা নিয়ে। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ফেক কমেন্টই বা হবে কেন তা নিয়েও। এরই পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘জনগণের জানার অধিকার আছে, সাংবিধানিক পদে কী হচ্ছে।’
অন্যদিকে, সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আতঙ্কের কথা এদিন আরও একবার উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র। তিনি বলেন,‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান। সংবাদমাধ্যমে সেই অভিযোগ করেছিলেন।’ সায়ন্তিকা ছাড়াও আর এক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও এই মামলার পার্টি। আদালত সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১২ টায় ফের এই মামলার শুনানি আছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নবান্ন সভাঘর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর কাছে মহিলাদের অভিযোগ আসছে। সেই মহিলারা অভিযোগ করছেন, রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।