নির্দলদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের। পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, ঝাড়্গ্রাম, হুগলি, হাওড়া-সহ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হল তৃণমূলের তরফ থেকে। সঙ্গে এও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে, বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির কটাক্ষ, সবটাই লোক দেখানো।
দলে ঠাঁই নেই নির্দলদের। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছিল আগেই। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমা। দলীয় অনুশাসন মেনে এবার ফের নির্দলদের বিরুদ্ধে নেওয়া হল ব্যবস্থা। রাজ্যের আট জেলায় বহিষ্কার করা হচ্ছে, ১০৬ জনকে। বহিষ্কারের এই তালিকায় রয়েছেন, বাঁকুড়ার ২৩ জন, জলপাইগুড়ির ১২ জন, ঝাড়গ্রামের ৪৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ৮ জন, হাওড়ার ১১ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৫ জন, হুগলি জেলার ৪ জন, কোচবিহারের ৩৭ জন। বিক্ষুব্ধ ও নির্দল প্রার্থীদের বহিষ্কার করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শাসকদলের অন্দরে যে কোন্দল তৈরি হয়েছে তাতে রাশ টানা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিরোধীরা। কারণ, একাদিক জেলায় তৃণমূলের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, আগামী ৮ জুলাইয়ের আগে লিফলেট বিলি করে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভোটারদের জানালে নির্দলদের ফের দলে নেওয়া হবে।
এদিকে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার সভা থেকে ফের নির্দল প্রশ্নে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘একটা নির্দলকেও দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।‘ প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় একাধিক নেতাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। বহু জায়গায় ইতিমধ্যেই সাপেন্ড করা হয়েও গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে ‘গোঁজ’ প্রার্থী নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছিল নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে বারবার সতর্ক করার পরও বিক্ষুব্ধদের নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। কিছু জায়গায় তাঁদের নিরস্ত করা গেলেও বেশ কিছু জায়াগায় এই হুঁশিয়ারি কাজে আসেনি। ফলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করাও শুরু হয়। গত সপ্তাহেই রাজ্যের একাধিক জেলার ৫৬ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে এ দিন আরও ১৮৯ জনকে সাসপেন্ড করা হয়।