মালদহের গাজোলের সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড স্থানীয় যুবক সমীর মণ্ডল। ডাকাতির জন্য লোক জোগাড় করা, অস্ত্র মজুত, গাড়ির বন্দোবস্ত সবকিছুতেই অন্যতম মাথা কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা এই সমীর। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। পরে পুলিশি অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ধরা পড়ে যায় সে। বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বুধবার কৃষ্ণপুর সমবায় ব্যাংকের ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ক্যাশিয়ারের পিসতুতো ভাই হয় সমীর। যদিও দুজনের সেভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই বলেই দাবি পরিবারের। এদিকে সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতেই সমীরের বাড়িতে ছিল আরও দুই অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় তিনজন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজোলের ওই সমবায় ব্যাঙ্কে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ক্যাশিয়ারকে গুলি করে ওই সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায় সাত থেকে আট জন দুষ্কৃতী৷ যদিও ডাকাতি করে পালানোর সময় পুলিশ ধাওয়া করে দুষ্কৃতীদের। পুলিশের গুলিতে আহত হয় সমীর এবং তার এক শাগরদ। শেষ পর্যন্ত দু জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে ধৃত ‘ডাকাত’ সমীরের বাবা রতন মণ্ডল ছেলের আচরণে যথেষ্ট বিরক্ত। তিনি জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পাস সমীর ২০১৮ সালে রানিগঞ্জ- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ওই সময়ই মামলায় জড়িয়ে জেলে কাটাতে হয়। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে একাধিক জেলে কাটিয়েছে সমীর। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক পুরনো অভিযোগ রয়েছে। পরিবারে স্ত্রী ও ছেলে রয়েছে সমীরের।
বুধবার সন্ধ্যায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান বাবা রতন মণ্ডল। তবে, স্পষ্ট জানিয়ে দেন ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত গুলিবিদ্ধ ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন না তিনি।