এই বর্ষায় রাজ্যে বৃষ্টিপাতে মোট ঘাটতির পরিমাণ ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১১ শতাংশ। শুধু দক্ষিণবঙ্গে মোট ঘাটতির পরিমাণ ৪৬ শতাংশ। যদিও উত্তরবঙ্গে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৭ শতাংশ, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে অবশ্য় এও জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে রাজ্যে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, শনিবার আবহাওয়া বদল হতে পারে। চলতি বছর সময়ের আগেই পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে ঘাটতি। গত এক সপ্তাহ নিম্নচাপের উপর ভর করে বদলেছে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম এবং বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৪ শতাংশ। শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে শহরে বৃষ্টিপাত কমবে। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য কম থাকলেও অস্বস্তি বাড়াতে পারে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকায় অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। আর মৌসুমী অক্ষরেখার অনুকূল অবস্থানের জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে রাজ্যে। আর এর প্রভাবে রাজ্যজুড়ে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। বর্ষা প্রবেশের পর থেকেই সেখানে নাগাড়ে বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। শনিবারের পর ফের বৃষ্টি বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। একইসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগামী তিন দিন মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।