প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল কংগ্রেস হাই কমান্ড। আগামী ২৮ জুলাই রাহুল গান্ধি ও সোনিয়া গান্ধির উপস্থিতিতে হবে বৈঠক। সেই বৈঠক থেকেই ঠিক হতে পারে কার হাতে থাকবে প্রদেশ কংগ্রেসের ভার। বাংলার প্রায় ২০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন ওই বৈঠকে। প্রদেশ কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে বা অধীর রঞ্জন চৌধুরীই এই পদে বহাল থাকবেন কি না বা অন্য কেউ এবার ধরবেন ব্যাটন তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই দিনই।
লোকসভা ভোটে ৯৯টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তবে বাংলার দিকে তাকালে দেখা যাবে ফলাফল মোটেই ভাল হয়নি। একমাত্র মালদহ উত্তর কেন্দ্রে বিজয় ধ্বজা ওড়াতে দেখা গেছে ঈশা খান চৌধুরীকে। এমনকী তৃণমূলের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে পাঁচবারের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। লোকসভা ভোটে তাঁর এই পরাজয় রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন বলেই মনে করেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী সভাপতি কে হতে পারেন, নাকি অধীরই ধরবেন হাল, তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। যে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিজেকে ‘অস্থায়ী সভাপতি’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন অধীর। পাঁচবারের সাংসদকে এও বলতে শোনা যায়, ‘আমি এখন কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। কারণ মল্লিকার্জুন খাড়গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন,সেদিন থেকে দেশের আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। সকলেই অস্থায়ী সভাপতি।’ সেদিন থেকেই তাঁর সরে দাঁড়ানো নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয় জল্পনা। শুধু তাই নয়, গুঞ্জন ওঠে বেশ কয়েকদিন আগেই নাকি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন অধীর। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এই জল্পনা ভিত্তিহীন বলেই দাবি করা হয়। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে যে বদল হবে সেই সিদ্ধান্ত একপ্রকার ঠিকই ছিল। সেই মতো আগামী ২৮ জুলাই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।