অগ্নিবীরদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রের। এবার থেকে সমস্তরকম আধাসেনার নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন প্রাক্তন অগ্নিবীররা। সেই সঙ্গে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা এবং বয়সের ঊর্ধ্বসীমাতেও ছাড় দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার একযোগে ঘোষণা করলেন বিএসএফ, সিআইএসএফ, আরপিএফ, এসএসবি এবং সিআরপিএফের শীর্ষকর্তারা।
প্রসঙ্গত, সেনায় চার বছর কাজ করার পর অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রকে এই প্রশ্নে বিদ্ধও করছিল বিরোধীরা। বস্তুত মাত্র ৪ বছরের জন্য অগ্নিবীর নিয়োগের সিদ্ধান্তে রীতিমতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান সেনায় চাকরিপ্রার্থীরাও। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, এমনকী বাংলারও একটা বড় অংশে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। বস্তুত, সেনাতে ‘পার্ট-টাইম’ নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই সমস্ত আধাসেনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ঘোষণা করা হয়।এদিনের এই ঘোষণা থেকে স্পষ্ট লোকসভা নির্বাচনের ফল থেকে বড় শিক্ষা পেয়েছে বিজেপি।
সূত্রে খবর, আধাসেনার সব বিভাগের ডিজিরাই জানিয়েছেন, এবার থেকে তাঁদের বাহিনীতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হবে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য। সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনায় যোগ দেওয়া জওয়ানদের। প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য বয়সে ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা হবে ৫ বছর। পরবর্তী ব্যাচগুলির জন্য এই ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা হতে চলেছে ৩ বছর। তাঁদের শারীরিক সক্ষমতার জন্যও আলাদা করে পরীক্ষা দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। চার বছরের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে বলে সেসময় ঘোষণা করে কেন্দ্র। বাকি ৯০ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। কেন্দ্রের নয়া ঘোষণায় আরও কিছু অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হল।