আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে অশান্তি। ল্যাপটপ চুরি ঘিরে ছাত্রের উপর মানসিক চাপের অভিযোগ। পরে মেডিক্যাল অফিসারের তৎপরতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই পড়ুয়াকে। অসুস্থ ছাত্রের নাম বিশ্বজিৎ প্রামাণিক। তিনি স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
জানা যাচ্ছে, বুধবার মেইন হস্টেলের এক পড়ুয়ার ল্য়াপটপ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে ওই হস্টেলেরই একাংশ ছাত্র। অসুস্থ ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, জোর করে ওই ল্যাপটপ চুরির মুচলেকা লেখানো হচ্ছিল বিশ্বজিৎকে দিয়ে। তখনই অসুস্থ হয়ে পড়ে ল্যাপটপ চুরিতে অভিযুক্ত ছাত্র। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেডিক্যাল অফিসার। অভিযোগ, তাঁকেও বাধার মুখে পড়তে হয়। এমনকী, হস্টেল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে ধরে পড়ুয়ারা।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার মিতালি দেব জানান, ‘ডিন স্যর অনেক রাত অবধি থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। উনি রাত্রি আটটা নাগাদ খবর পান হস্টেলে ঝামেলা হচ্ছে। একটি ল্যাপটপ চুরি হয়। পরে সেটা পাওয়াও যায়। এবার ওদের যাকে সন্দেহ হয়েছে তাকে ঘিরে ধরে। সে অসুস্থ বোধ করে। এরপরই ডিন স্যর বলেন ম্যাডাম আপনি যান। দেখুন কী হয়েছে। আমি গিয়ে দেখি প্রায় ৭০-৮০ জনের জমায়েত। আর যে ছেলেটিকে হেনস্থা করা হয়েছে তার পালস কম, চোখ বেরিয়ে এসেছে। ওর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। ওকে দিয়ে মুচলেকাও লেখানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলেই গত বছর র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। এরপর সেই যাদবপুরের বিরুদ্ধেই ফের গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে।