উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণের ভাঁড়ার শূন্য

উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায়আগামী পাঁচদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে কার্পণ্য দেখিয়েই চলেছে বর্ষা। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের একেবারে উত্তরের পাঁচটি জেলা, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী দুদিন ধরে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সবথেকে বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা। তবে আবহাওয়া অফিস এও জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে এই তিন জেলার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।

সেখানে দক্ষিণে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে দুই-এক জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশী রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়া জেলাতে। এছাড়া বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের দুই-এক জায়গাতে আগামী দুই দিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য জায়গায় আগামী ৪-৫ দিনে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। তবে তাতে তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গে একই রকম ভাবে অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে গুমোট গরম অনুভূত হবে শহর কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিতে।

এদিকে রবিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে ৬৯ থেকে ৯২ শতাংশ।  বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তি বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর বেশ কিছু এলাকায় ল্যান্ড স্লাইড বা ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। জলস্তর বাড়বে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সংকোশের মতো উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে। প্রবল বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে পার্বত্য এলাকায়। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব-পশ্চিম নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে রাজস্থান থেকে মণিপুর পর্যন্ত। এই কারণেই সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। এই রেখা উত্তর প্রদেশ থেকে দক্ষিণ বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত গিয়েছে।

এদিকে ভরপুর বর্ষার মেজাজ দেশের আবহাওয়ায়। বর্ষার বৃষ্টিতে কম বেশি ভিজছে দিল্লি-সহ বেশিরভাগ রাজ্য। মৌসম ভবন অর্থাৎ ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি)-এর দেওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২ দিনের মধ্যে দেশের বাকি অংশে বর্ষা আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে উত্তরাখণ্ড, অসম, মেঘালয়, মধ্য মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন এবং গোয়ায় ভারী বৃষ্টির কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =