অশান্ত বাংলাদেশ। এখনও পরিস্থিতি পুরোপরি স্বাভাবিক হয়নি। এরই মধ্যে হিলি সীমান্তে ফের বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা শুরু হচ্ছে। তবে এখনও বন্ধ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে প্রাপ্ত খবর অনুসারে, ১৩১০৮ কলকাতা – ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৭.০৭.২০২৪ তারিখে কলকাতা থেকে ছাড়ার কথা ছিল এবং ১৩১১০ ঢাকা – কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৭.০৭.২০২৪ তারিখে কলকাতাতে পৌঁছানোর কথা ছিল, তা বাতিল থাকবে।
তবে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ট্রেনের ভাড়া ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীদের অসুবিধার জন্য গভীরভাবে দুঃখিত রেল। নিম্নোক্ত শর্তাবলী সাপেক্ষে বাতিল ট্রেনের ভাড়ার সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে-
১. কলকাতা শহরের সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত শুধুমাত্র কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারগুলিতেই প্রদান করা হবে।
২. হারানো বা মিসপ্লেসড টিকিটের কোনও অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না।
৩. বিদেশি পর্যটকদের কাউন্টারে পিআরএসের কার্যক্রমের সময়ের মধ্যেই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। টিডিআর ইস্যু করা হবে না।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ-বাতিলের দাবিতে রণক্ষেত্র হয় বাংলাদেশ। ফলে হাসিনা সরকার কার্ফু জারি করেছিল আগেই। আন্দোলনের জেরে শতাধিকের মৃত্যু হয়েছে। বহুসংখ্যক নিহত। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্রিয় প্রশাসন ও পুলিস। গোটা দেশ জুড়ে টহলদারি সেনার। পরিস্থিতি সামলাতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপে নির্দেশ জারি করেছে হাসিনা সরকার। ঢাকা-সহ অধিকাংশ শহরে টোটাল শাট ডাউন করে দেওয়া হয়। রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়, বন্ধ হয় ইন্টারনেটও।