পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিট পেশ হতেই এর কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। শুক্রবার ৩২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই চার্জশিটে তারা উল্লেখ করেছে, কোন পুরসভায় কত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, কীভাবে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘ছাড়ুন তো ওই সব পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারি।’ এরই রেশ ধরে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী বেনজির আক্রমণ করেন সিবিআইকে। সামনে আনেন তাঁর গ্রেফতারির প্রসঙ্গও। পাশাপাশি আক্রমণ শানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সিবিআইকে প্রায় চ্যালেঞ্জের সুরে জানান,’আগে শুভেন্দু অধিকারীকে ছুঁয়ে দেখাক সিবিআই। যে কারণে আমায় জেলে ঢুকিয়েছিল, বাপের বেটা হলে শুভেন্দুকেও ছুঁয়ে দেখাক।’ বস্তুত, ২০২১ সালে নারদ-কাণ্ডে এই সিবিআই-এর হাতেই গ্রেফতার হন ববি। চেতলায় তাঁর বাড়ি থেকে সেই সময় গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ দিন, সেই ঘটনা সামনে এনে তাঁকে গ্রেফতারির প্রসঙ্গই আরও একবার উস্কে দেন ফিরহাদ।
উল্লেখ্য, পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর অভিযোগ, নিয়ম খাতায় কলমে মানা হলেও, বাস্তবে কেউ ধারও ধারেনি। ১৮৫০ জনের নিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন পদে। রয়েছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের কর্মী নিয়োগও। বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআই চার্জশিটে একাধিক পুরসভার নাম উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে টাকি পুরসভা, বাদুড়িয়া পুরসভা, কামারহাটি পুরসভা, দমদম পুরসভা, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর পুরসভা, কাঁচড়াপাড়া পুরসভা, নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা, টীটাগড় পুরসভা, রানাঘাট পুরসভা, নবদ্বীপ পুরসভা, বীরনগর পুরসভা, কৃষ্ণনগর পুরসভা, ডায়মন্ড হারবার পুরসভা, উত্তর দমদম পুরসভা,বরানগর পুরসভা,উলুবেড়িয়া পুরসভা। এই সকল পুরসভাগুলির নিয়োগ সন্দেহজনক বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।