সাঁতরাগাছির ওষুধ কারখানাকে বিকল্প জমি দিতে তৎপর হল হাওড়া জেলা প্রশাসন। সারা বছর ধরে কোটি কোটি প্যারাসিটামল তৈরি হয় ওই কারখানায়। একাধিক জীবনদায়ী ওষুধও উৎপাদন করা হয় সেখানে। রাস্তার কাজের জন্য নোটিস দেওয়া হয় ওই কারখানাকে। সে কারখানার একটা অংশই ভেঙে ফেলার উপক্রম হয়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, কোনও এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণের জন্যই কারখানা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বিকল্প জমি না পেলে কারখানা সরানোয় আপত্তি ছিল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার। শুধু তাই নয়, কারখানার অংশ ভেঙে দেওয়া হল ওষুধ উৎপাদন করা যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে, সে কথা জানিয়েছিল ওই সংস্থা।
এই অচলাবস্থার জেরে রাজ্যে প্যারাসিটামলের জোগানে ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়। সংস্থা দাবি করেছিল, তাদের বিকল্প ব্যবস্থা না করা হলে কারখানা অন্য রাজ্য়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। অবশেষে, ওষুধ কোম্পানিকে প্রস্তাবিত হাওড়া হাটের কাছে বিকল্প জমি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কেএমডিএ’কে চিঠি দিলেন হাওড়ার জেলাশাসক। কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অন্তর্ভুক্ত হবে ওই বিকল্প জমি। এখন কেএমডিএ’র অনুমতি পেলেই সরানো হবে কারখানা।
১৯৫৪ সালে তৈরি হওয়া ওই সংস্থায় প্যারাসিটামল ছাড়াও আইবুপ্রুফেন, অ্যামোক্সিসিলিন, ক্লক্সাসিলিন ক্যাপসুলস, লিনেজোলিড (অ্যান্টিবায়োটিক), ওফ্লক্সাসিন (অ্যান্টিবায়োটিক)-এর মতো ওষুধ তৈরি হয়। ডায়মন্ড ড্রাগ নামে ওই সংস্থা থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হয় সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে। প্রায় ৪০ কোটি প্যারাসিটামল সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।