বিজেপির হাত ধরে উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত, সরব কাকা শরদ পওয়ার

বিদ্রোহী ভাইপো। এবার হাত মেলাল বিজেপি-শিণ্ডে জোট সরকারের সঙ্গে। রবিবার এমনই ছবি মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। একাধিক বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে অজিত পওয়ার এদিন একনাথ শিণ্ডে সরকারে সঙ্গে শুধু হাত মেলালেন তাই নয়, পুরস্কার স্বরূপ পেলেন মহারাষ্ট্রের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীর পদও।

এই প্রসঙ্গে এদিন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার তথা অজিত পাওয়ারের কাকা হুঁশিয়ারির সুরেই জানান, ‘আবার আমরা পার্টিকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঝাঁপাব। বিধায়ক এবং পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কি না। আমি প্রফুল প্যাটেল এবং সুনীল তাতকারেকে ভরসা করে দলের সভাপতির মর্যাদা দিয়েছিলাম। কিন্তু, ওঁরা আমরা ভরসা রাখতে পারেনি। দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে আমায় কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে।’ তবে শরদ পওয়ার এও জানান, ‘আমি কখনই বলব না আমার পরিবারে ভাঙন ধরেছে। এটা কেবলমাত্র আমার পরিবারের বিষয় নয়, এটা গোটা রাজ্যের মানুষের বিষয়। যারা দলে থেকে বেরিয়ে গেলেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এর জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দু’দিন আগে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তারপরই দলের একাধিক নেতার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে।’ সঙ্গে এও জানান,  ‘এটা ডাকাতি। এটা কোনও ছোট করে দেখার বিষয় নয়।’

এরই পাশাপাশি এও জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কংগ্রেস এবং উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের সঙ্গে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা আলোচনা করবেন বলে জানান শরদ পওয়ার। প্রত্যয়ের সুরে বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল মানুষ। তাঁরাই আমাদের নির্বাচিত করেছে।’

এখানেই সেষ নয়, শরদ পওয়ার এদিন এও জানান, ‘বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেতা নেত্রীদের থেকে প্রচুর সংখ্যক ফোন পেয়েছি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকেই আমায় ফোন করেছিলেন। রবিবার যা হয়েছে, তা নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন। সোমবার আমি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই বি চওয়ানের আশীর্বাদ নিয়ে একটি জনসভা করব।’

একইসঙ্গে শরদ পওয়ার সামনে আনেন পুরনো ইতিহাসও। বলেন, ‘এই ঘটনা নতুন নয়। ১৯৮০ সালে ৫৮ জন বিধায়ক ছিল আমাদের দলের। কিন্তু, পরবর্তীতে তা ছয়জনে এসে দাঁড়ায়। আবার আমরা লড়াই করে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছিলাম। যারা আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁর সকলেই নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।’

এদিকে এনসিপির ঘরের খবর, দলের অন্দরে বিক্ষোভের আঁচ অনুমান করেই বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য আগামী ৬ জুলাই একটি বৈঠক ডেকেছিলেন শরদ পাওয়ার। কিন্তু তার আগেই দলের একগুচ্ছ বিধায়ক অজিত পওয়ারের নেতৃত্বে শিবির বদল করলেন। তাঁদের দাবি, এনসিপি দল হিসেবেই মহারাষ্ট্রের মহাজোট সরকারে সামিল হয়েছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 16 =