ফের রাজপথে আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা। রবিবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হয় মিছিল। আর এই মিছিল থেকেই ওঠে স্লোগান। শেষে ধর্মতলায় হামাগুড়ি দিয়ে চলে প্রতীকী প্রতিবাদ। একজন চাকরিপ্রার্থীকে অসুস্থও হয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালেও।
এদিকে যে মুহূর্তে ধর্মতলার দখল নেয় চাকরিপ্রার্থীরা ঠিক তখনই মাঠে নামে পুলিশবাহিনীও। চাকরিপ্রার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা চলে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে। আন্দোলনের প্রথম সারিতে প্রচুর মহিলা মুখ থাকায় উল্টোদিকে প্রচুর সংখ্যায় মহিলাও পুলিশও রাস্তায় নামে। তবে বিক্ষোভ তুলতে নারাজ চাকরি প্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, ‘২০১৪ সালের পর পর ১০ বছর কেটে গিয়েছে। ২০১৪ সালের নোটিফিকেশনে বলা হয়েছিল গেজেট মেনে সম্পূর্ণ আপডেট সিটে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, কমিশন এখনও ১৪ হাজার ৩৩৯ পদের কথাই কমিশন বলে যাচ্ছে। কিছুই হচ্ছে না। আমরা চাই আমাদের আপডেট সিটের দাবিটা ভাল করে দেখা হয়। আমরা চাই আমাদের ইন্টারভিউ নিয়ে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।’
এদিকে হামাগুড়ি দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদের মধ্যে রাস্তাতেই শুয়ে পড়তে দেখা যায় বেশ কিছু মহিলাকে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী জানান, ‘আমরা ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী। আমাদের দাবি সমস্ত ভ্যাকেন্সি আপডেট করে সকল টেট পাশদের নিয়োগ করতে হবে। সে কারণেই আমাদের মহামিছিল। বিচারপতিদের কাছে আমাদের আবেদন যেন আমার বিষয়টি যেন মানবিক দিক থেকে দেখা হয়।’ এরই পাশাপাশি আরও এক মহিলাকে রাস্তা থেকে কার্যত ধরে তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে। খানিক আক্ষেপের সুরে তিনি জানান, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে বারবার আমাদের রাস্তায় নামতে হয়। মার খেতে হয়। কিন্তু, কীভাবে বাঁচব সেই উত্তর খুঁজে পাইনি আজও।’