রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য চালু হওয়া ‘হেলথ স্কিম’ নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেল। সেখানে এই স্কিমে আরও কিছু হাসপাতালকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে বহু সরকারি কর্মীরা উপকৃত হতে চলেছেন। এই হেলথ স্কিমে সরকারি কর্মী বা পেনশনভোগী প্রাক্তন সরকারি কর্মীরা তাঁদের ক্ষেত্রে ২ লাখ এবং পরিবারের চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে যে কোনও হাসপাতালে এটা হবে না। রোগী এক্ষেত্রে তাঁরা যে হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকবেন তা এই প্রকল্পের আওতায় থাকতে হবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, নতুন জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য স্কিমে আরও কিছু হাসপাতাল যুক্ত করা হয়েছে। এই হাসপাতালগুলি হল-কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট, টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথ কেয়ার অ্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টার, তপোবন হেলথ কেয়ার হাসপাতাল (লাইফ কেয়ার হাসপাতাল), আরামবাগ অ্যাপেক্স ডায়াগনস্টিক হেলথ কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড, এএসজি হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, দ্য হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট, জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন, মেডিট্রাস্ট ডায়াগ্নস্টিক।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্য সরকারি কর্মীদের হেলথ স্কিমে আরও বেশ কিছু রোগের তালিকা যুক্ত করা হয়েছিল। সেই রোগগুলির চিকিৎসার ক্ষেত্রেও রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এই স্কিমের সুবিধা পেতে পারেন। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীরা এক্ষেত্রে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেসের সুবিধা পান। তার থেকে বেশি বিল হলে তা সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পর রিইম্বার্সমেন্টের মাধ্যমে সেই অর্থ ফেরত পেয়ে যান।
নতুন হাসপাতাল যুক্ত হওয়ার ফলে সরকারি কর্মীদের সুযোগ বাড়ল যে তাঁরা চিকিৎসার জন্য সেখানেও স্কিমের সুবিধা পেতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই খুশি তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পে বিল জমা দেওয়ার পর টাকা পেতে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সেই কারণে স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সেলে একজন করে চিকিৎসক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে সেই পদে নিয়োগ করা হবে। জানা গিয়েছে, এক বছরের চুক্তির ভিত্তিতে এই নিয়োগ হতে পারে। একজন চিকিৎসক থাকলে বিল সময়ে পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মীরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।