সালিশি সভার নামে পার্টি অফিসে মারধর রাজারহাটে

এবার সালিশি সভার নামে যুবককে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল রাজারহাটের ভাটিন্ডায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় বিষ্ণুপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য রক্তিম কর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও রক্তিম করের দাবি অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগকারী বিজেপি করেন। তাই তাঁকে অপদস্থ করতে এসব বলছেন।

অভিযোগ, অভিযুক্ত রক্তিম রাজারহাট-বিষ্ণুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি আবার রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর করের ভাইপো হিসেবে পরিচিত। সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা কর্মরত ছিলেন আক্রান্ত ব্যক্তি। ঋণ প্রদানের কাজে অনির্বান সরকার নামে রাজারহাট দেয়াড়ার বাসিন্দার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অনির্বাণের সাহায্যে এক ‘ক্লায়েন্ট’-কে ঋণ পাইয়ে দেয়। সেই কাজের কমিশনের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ। যার মীমাংসার কাজে রক্তিমের ভাতিন্ডার গ্যাস গোডাউনের কাছের দলীয় কার্যালয়ে বসে সালিশি সভা। গত শনিবার সন্ধ্যায় বসে বিচারসভা।

সেখানে বাইক বাহিনী ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

অভিযোগকারী যুবকের কথায়, ‘আমাদের পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আমাকে ফোন করেন। এরপর বাইকে তিনজন যুবক এসে হাজির হন আমার বাড়িতে। আমাকে কার্যত তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভার নামে বেধড়ক মারে। তাও একজন নাকি অভিযোগ করেছেন, তার ভিত্তিতে। এখানকারও নয় তিনি।’ একইসঙ্গে অভিযোগকারী এও জানান,  তাঁকে বলা হয় যে তাঁরই নামে একজন অভিযোগ করেছে। কালীঘাট থেকে আমার উপর চাপ আসছে। এরপর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তা ফরম্যাট করে দেওয়া হয়। সঙ্গে চলে হাতে মুখে পেটে মার। মাথা ধরে দেওয়ালে ঠুকে দেওয়াও হয়। এরপরই অভিযোগকারী দাবি করেন, যেন রক্তিম করের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়।

এদিকে রক্তিম করের বক্তব্য, ‘একজনকে ডাকা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। একটা চিটিংবাজি করেছেন উনি এক বছর ধরে। যাঁদের সঙ্গে চিটিংবাজি করেছেন তাঁরা এসেছিলেন, কথা বলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেসব রেকর্ডিং করছিল বলে ফোন ফরম্যাট করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মারধর কেন করা হবে? ছেলেটি আসলে বিজেপি করে। আমাকে হেনস্থা করতে এসব বলেছে।’

এদিকে রাজারহাট পাঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘আত্মীয় বলে অন্যায়ের প্রশ্রয় দেয় না দল। অন্যায় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলব পুলিশকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + twenty =