বোর্ডের হাতে প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার টেট সার্টিফিকেট কপি হস্তান্তরের নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

২০১৪-র প্রাথমিক টেট নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। সঙ্গে রয়েছে সার্টিফিকেট নিয়েও জটিলতাও। এবার এই সংক্রান্ত মামলায় কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবারের শুনানিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়, ডেটার ওয়ার্কিং কপি বোর্ডকে দিতে হবে অবিলম্বে। সেই ওয়ার্কিং কপি দেখে বোর্ড মামলাকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করবে। আগামী ১৩ অগাস্টের মধ্যে সার্টিফিকেট মামলাকারীদের দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কারণ, সিবিআই-এর হাতে তথ্য থাকায় সার্টিফিকেট দেওয়া যায়নি বলে দাবি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পাশ করার পরও শংসাপত্র না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা। এরপরই বোর্ডের হাতে প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার টেট সার্টিফিকেট কপি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দ্রুত সার্টিফিকেট বোর্ডের হাতে হস্তান্তর করবে সিবিআই। সেখান থেকে বেছে মামলাকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করবে বোর্ড।

এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, এরা পাশ করেছে, আর বোর্ডের কাছে তথ্য নেই কেন তা নিয়ে। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘বোর্ড কী করে বুঝতে পারছে যে এরাই সেই পরীক্ষার্থী?’ এদিকে আগের শুনানিতে বোর্ড বলেছিল, ইন্সট্রাকশন নিয়ে এসে জানানো হবে। এদিন পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে, সেই তথ্য থেকেই সার্টিফিকেট প্রদান করার ব্যবস্থা হবে। তবে, সমস্ত তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পর্ষদ। ফলে সব সার্টিফিকেট প্রদান করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আবার বোর্ড সিবিআই-কে অরিজিনাল কপি দিলে, তদন্ত বাধা পেতে পারে, সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্কিং কপি দেওয়া যেতে পারে বলে জানায় সিবিআই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − five =