পারলেন না বোপান্না

চল্লিশ পার করার পর যেন নিজেকে আরও ধারালো করেছেন। প্রতিপক্ষের কাছে বিস্ময় হয়ে উঠেছেন। আর সেই কারণেই অলিম্পিকে টেনিস থেকে পদকের স্বপ্নে একাকার ছিল দেশ। কিন্তু অলিম্পিকের আসরে তিনি কার্যত কিছুই করতে পারলেন না। টেনিসের ডাবলস তো বটেই, সিঙ্গলসেও আশা শেষ হয়ে গেল ভারতের। প্রথম রাউন্ডেই হেরে ছিটকে গেলেন বোপান্না-বালাজি জুটি। সিঙ্গলসে হেরে গেলেন সুমিত নাগালও। সেই ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকের সিঙ্গলস থেকে ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরেছিলেন কলকাতার ছেলে লিয়েন্ডার পেজ। ২৮ বছর পার করেও সেই খরা কাটাতে পারল না ভারত।

বোপান্না-বালাজির ম্যাচটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। ফরাসি জুটি গেল মনফিলস-এডোয়ার্ড রজার ভাসেলিনের কাছে স্ট্রেট সেটে হেরে বিদায় নিলেন বোপান্না- বালাজি জুটি। প্রথম সেটটাতে তাও লড়াই করেছিলেন। কিন্তু ৭-৫এ হেরে যান। দ্বিতীয় সেটে ফরাসিরা আর দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় টেনিস প্লেয়ারদের। ফল ফ্রান্সের পক্ষে ৬-২। ডাবলসে বিশ্বের এক নম্বর হয়েছিলেন বোপান্না। কিন্তু বালাজির সঙ্গে তাঁর জুটি খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা নিতে পারল না। পেশাদার সার্কিটে বোপান্নার সাম্প্রতিক যত সাফল্য, তার সবটাই অস্ট্রেলিয়ান ম্যাথেউ এবডেনের জন্য। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও জিতেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে আবার ফর্ম পড়েছে বোপান্নার। ইন্ডিয়ান ওয়েলস ওপেনে হেরে গিয়েছিলেন তাঁরা। পুরনো ছন্দ আর ফিরে পাননি ভারতীয় তারকা। এই সব মিলিয়ে বয়স যদি স্রেফ সংখ্যা হয়, কখনও সখনও কাঁটাও হতে পারে। রোহন বোপান্নার কাছে আপাতত তা-ই হল। তার কেন্দ্রে ছিলেন বোপান্নাই।

এদিকে সুমিত নাগালও প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছেন ফরাসি তারকা মোটেটের কাছে। প্রথম সেটটা হেরেছিলেন ২-৬। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য ফিরে এসেছিলেন। জেতেন ৬-২। কিন্তু তৃতীয় সেটটা আবার ৭-৫ হেরে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + seven =