বাংলা ভাগের চেষ্টার অভিযোগকে সামনে রেখে এবার নিন্দা প্রস্তাব শাসক শিবিরের। বিধানসভায় ১৮৫ নম্বর ধারায় এই প্রস্তাব আনা হয়। বৃস্পতিবার বিধানসভার বুলেটিনে তা প্রকাশিতও হয়। বাংলা ভাগের অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। রাজ্যের সকল শ্রেণির ঐক্য, সংহতি, শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গকে অটুট রাখার জন্য সকল স্তরের জনগণের কাছে আবেদন জানানোর কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবের শেষ অংশে।
এই ধরনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকার জন্য বিধানসভা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করছে বলেও উল্লেখ রয়েছে প্রস্তাবে। নাম না করে সুকান্ত মজুমদারের কথাও প্রস্তাবে বলা হয়েছে। উত্তর পূর্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা রাজ্য ভাগের নামান্তর বলা হয়েছে শাসকশিবিরের আনা প্রস্তাবে। নাম না করে উল্লেখ করা হয়েছে নিশিকান্ত দুবের মন্তব্যও।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার একটি প্রস্তাব দেন। কী সেই প্রস্তাব, সুকান্ত নিজেই পরে তা জানান। সুকান্ত জানান, উত্তরের ৮ জেলা পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসাবে থাকলেও উত্তর-পূর্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব কি না, তা জানতে চান তিনি। সঙ্গে এও বলেন, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অংশ হিসাবে ধরা হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে সুবিধা হবে। এতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলেও মনে করেন বিজেপি সাংসদ।
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভায় অভিযোগ তুলেছিলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ পশ্চিমবঙ্গের এটা অংশের জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছে। বাংলা ও বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি জানান তিনি। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বিহারের কাটিহার, আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক।
এই প্রসঙ্গ টেনেই তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি নেতারা বিভাজনের পক্ষে সওয়াল করছেন। রাজ্য ভাগের গভীর চক্রান্ত করছেন অনেক বিজেপি নেতা বলেও প্রস্তাবে লেখা হয়েছে। বিজেপি আশানুরূপ ফল না করায় বিভাজনের রাজনীতি অবলম্বন করে উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান রাখেনি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে। সংকীর্ণ রাজনীতির জন্য বিজেপি উন্নয়নে অর্থ দেয়নি বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। বিধানসভা সূত্রে খবর, আগামী সোমবার বিধানসভায় আসবে বাংলা ভাগ বিরোধী নিন্দা প্রস্তাব।