পার্টি লাইনের বাইরে গিয়ে অন্য় প্রার্থীকে ভোট! এমনকী, ‘দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বহু এলাকায় নিষ্ক্রিয় ছিলেন সিপিএম কর্মীরা’। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল ভোট-পর্যালোচনা রিপোর্টে।
এর ফলেই সংসদীয় রাজনীতিতে সিপিএমের রক্তরক্ষণ অব্যাহত। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে ২৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। স্রেফ হার নয়, দমদমে সুজন চক্রবর্তী আর মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম বাদে সবকটি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছে দলের প্রার্থীদের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে এই ভোট বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে। শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। পার্টির অন্দরে চলছে বিভীষণদের খোঁজ।
এদিকে সামনেই বর্ধিত রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন। সেই অধিবেশনের আগেই লোকসভা ভোটের ফল ও দলের পরিস্থিতি প্রাথমিক পর্যালোচনা করেছেন সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব। রিপোর্ট আকার তা প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টের ২১, ও ২২ নং পাতায় উল্লেখ, ‘পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু দলে প্রার্থীকে পার্টি সদস্য, কর্মীর সমর্থন করেছেন বা ভোট দিয়েছেন। নির্দিষ্ট প্রার্থীকে বা দলকে সমর্থনের পিছনে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন ইত্যাদির মতো সংকীর্ণ স্বার্থ কাজ করেছে। এমন সংসদীয় সুবিধাবাদেরও উদাহরণ রয়েছে’।
এদিকে দলের সভা-সমাবেশে ভিড় হচ্ছে। প্রচুর মানুষ আসছেন। কিন্তু নিচুতলায় সংগঠন সামলানো বা বুথ আগলে রাখার মতো কর্মী যে নেই, প্রাথমিক ভোট-পর্যালোচনা রিপোর্টে তা মেনে নিয়েছেন সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব। রিপোর্টেই স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের মন বোঝা বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ ঘাটতি রয়ে গিয়েছে।