বৃহস্পতিবার দিনভর জেরার পর মধ্য রাতে গ্রেফতার দেগঙ্গার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ও তাঁর ভাই আলিফ নুর। করা হয় দুইজনকে। শুক্রবার তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে এবং আদালতে পেশ করা হবে। রেশন দুর্নীতি মামলায় এই দুই গ্রেফতারে আরও মাইলেজ পেল ইডি।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ইডির মাস্টারস্ট্রোক ছিল রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার। এরপর মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করে ইডি। এবার বাকিবুর ঘনিষ্ঠ আনিসুর রহমান ও আলিফ নুরকেও গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজনকে, এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই রেশন দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। দেগঙ্গায় আলিফের বাড়ি ও চালকলেও তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। ১৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি , বেশ কিছু নথি ও দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসে। এরপরই জেরার জন্য আনিসুর রহমান ও আলিফ নুরকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল।
এরপর ইডির এই তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও-তে আসেন আনিসুর ও আলিফ। ১১ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরা চলে তাঁদের। জেরায় তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়লে, মধ্য রাতে ইডি গ্রেফতার করে দুই ভাই-কে। ইডি সূত্র্ খবর, শুক্রবার আনিসুর ও আলিফ-কে আদালতে পেশ করা হবে। দুইদিনের রিমান্ড চাইবে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, বাকিবুর রহমানের সূত্র ধরেই আনিসুর ও আলিফের কাছে পৌঁছেছিল ইডি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল আনিসুর ও তাঁর ভাইয়ের। এদিকে, শুক্রবার ইডি দফতরে জেরার জন্য তলব করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বারিক বিশ্বাসকেও। মঙ্গলবার বারিকের রাজারহাটের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করা হয়। সেই নথিতেই দুবাইয়ের একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা ঘুরপথে দুবাইয়ে লগ্নি করেছিলেন বারিক। আজ সেই প্রশ্নেরই মুখোমুখি হতে হবে বারিককে।