গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বিপদ বাড়ছে বাংলার। ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। সকাল থেকে ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তারা। অন্যদিকে আবার দুর্গাপুর জলাধারও জল ছাড়া শুরু করেছে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকাগুলি ডুবতে পারে বলেও আশঙ্কা। বীরভূমের কঙ্কালিতলায় শুক্রবারের যে ছবি দেখা গিয়েছে, তাও যথেষ্ট উদ্বেগের। নদীগুলিরও জল বাড়ছে হু হু করে। এই আবহে শনিবার জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব। জেলাস্তরের পাশাপাশি মহকুমাস্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছ। ত্রাণ সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এদিকে সূত্রে খবর, টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টিতে বেশ কিছু জেলায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। সতর্ক থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন।
কারণ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে ইতিমধ্যেই আরও শক্তি বাড়িয়ছে নিম্নচাপ। বিহারে অতি গভীর নিম্নচাপ। নিম্নচাপের হাত থেকে রেহাই নেই বাংলারও। আজও দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। আগামী ৪ দিনে উত্তরবঙ্গেও মুষলধারার পূর্বাভাস। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে।এদিকে শুক্রবার সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায়। শনিবারও সকাল থেকেই বৃষ্টি। কলকাতা বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে জল জমে গিয়েছে। এক টানা বর্ষণে কলকাতা সংলগ্ন পাতিপুকুর আন্ডার পাসে চেনা ছবি। শনিবার সকালে একটি লেন থেকে উভয়মুখী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে লেকটাউন ট্রাফিক এবং কলকাতা পুলিশ। পাতিপুকুর আন্ডার পাশে বুক সমান জল জমে রয়েছে। যার জেরে যানবাহন চলাচল বিপর্যস্ত।