বাংলার বন্যা পরিস্থিতি ‘ম্যান-মেড’। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে আচমকা প্রচুর জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। রবিবার বিষয়টি নিয়ে পড়শি ‘বন্ধু’ রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাটি সোশাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্বয়ং।
প্রসঙ্গত, এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘এখনই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজির সঙ্গে আমার কথা হল। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হল। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে আচমকা প্রচুর জল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। এই জলে ইতিমধ্যে বাংলাকে প্লাবিত করতে শুরু করেছে। আমি ওঁকে বললাম, ঝাড়খণ্ডের জলে বাংলায় বন্যা হচ্ছে। যা ম্যান-মেড। বিষয়টির দিকে নজর রাখতে অনুরোধ করেছি।’
এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী গোটা বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। আগামী ৩-৪ দিন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন।
উল্লেখ্য, এদিকে রবিবার সকাল থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ায় ডিভিসি। ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ইতিমধ্যেই জলস্তর বাড়ছে দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী নদীতে। ডিভিসির জলে ডুবতে চলেছে হাওড়া, হুগলির একাংশ। শুক্রবার রাতে বন্যা সতর্কতা জারি করে জল ছাড়া শুরু হয়। প্রথমে ২৪ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। শনিবার সকালে ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। শনিবার বিকেলে ৭৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। রবিবার সকাল থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে।