সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কায় সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন। সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কারণ, সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কোচবিহারে। মঙ্গলবার এই ৫ জেলাতেই অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বভাবতই পাহাড়ে নতুন করে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা থাকছে। পাহাড়ি নদীতে হড়পা বানেরও আশঙ্কা একইভাবে বাড়ছে। ডুয়ার্সের নদীতেও জলস্তর বাড়তে পারে। ব্লকে ব্লকে মাইকে প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল বিপদ বাড়াতে দক্ষিণবঙ্গের। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবারই নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, ৫-৬ তারিখ ভরা কটালের জন্য হুগলি, হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। হাওড়া, কাটোয়া-সহ একাধিক জায়গা থেকে খবর আসছে, ফেরিঘাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি কমায় কিছুটা সুরাহা হয়েছে। এদিকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে ডিভিসি। দিনভর ১ লক্ষ ২১ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। সেখানে রাত থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে আবার দুর্গাপুর জলাধার থেকে ১.৩ লক্ষ কিউসেক হারে জল বেরোচ্ছে। এবার দুর্গাপুর থেকে জল বেরোনোর পরিমাণও কমার আশা দেখা যাচ্ছে। তবে এখনই পুরোপুরি রেহাই নয় বাংলার। ইতিমধ্যেই ছাড়া জলে ভাসবে হাওড়া, হুগলির একাংশ। প্লাবনের আশঙ্কা পূর্ব বর্ধমানের দামোদর লাগোয়া এলাকাও।