জ্য়োতিপ্রিয়র আরও একাধিক ভুয়ো কোম্পানির হদিশ পেল ইডি

রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক ব্যালান্স শিট হাতে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের। আর এই সূত্র ধরেই সামনে আসছে নানা ধরনের বিস্ফোরক তথ্য। আনিসুর রহমান ও আলিফ নূর ওরফে মুকুল ও বিদেশ গ্রেফতার হয়েছেন। একইসঙ্গে সামনে আসছে আনিসুর ও আলিফের কোটি কোটি টাকার লেনদেনের যাবতীয় তথ্যও। কীভাবে পরিবারের লোকজনকে ভুয়ো চাষি সাজিয়ে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করতেন, জেরা করে সে কথা জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। এবার তদন্তে সামনে এল আর পাঁচ সংস্থার হদিশ।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, ইএইচ গ্রুপ অব কোম্পানির আওতায় থাকা ১৩ সংস্থার কথা জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পার্টনার হিসেবে রয়েছেন সেই সব সংস্থায়। প্রাক্তন মন্ত্রীর হিসাব রক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সেই সব সংস্থার নথি পান তদন্তকারীরা। সেগুলির ব্যালান্স শিট দেখতে গিয়ে ইডি অফিসাররা জানতে পেরেছেন ও সংস্থাগুলির নামে এসেছে কোটি কোটি টাকা।

আর এই সংস্থার ঠিকানা হল ৩০ নম্বর স্ট্র্যান্ড রোড। ঠিকানাটি ভুয়ো বলেই জানা গিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই সংস্থার পাঁচ কোটি টাকা এসেছে ওই সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টে। মুকুল ও বিদেশের কাছ থেকে এসেছে ওই টাকা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩ সংস্থার হদিশ পাওয়া গেল। কোথাও পার্টনার হিসেবে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, কোথাও ডিরেক্টর হিসেবে। এর সব ব্যালান্স শিট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এবার নয়া এই তথ্য এই ১৩ সংখ্যাটাই জ্যোতিপ্রিয়কে আরও বিপদে ফেলবে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে খবর, নতুন করে যে ৫ সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেই সংস্থাগুলির নাম হল- ইএইচ গ্রিনিশ কোম্পানি, ইএইচ সেন্ট্রা অ্যান্ড মার্ট কোম্পানি, ইএইচ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি, ইএইচ পিকাসো কোম্পানি, ইএইচ গ্রিনরাশ কোম্পানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − six =