হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার বলেছিলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বতী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করব।’ বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে চিন্তিত বিশ্বের তাবড় দেশগুলিও। এদিকে একাধিক দেশের শীর্ষ রাষ্ট্রনেতারা এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস
নিজের বিবৃতিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমেয়ারের মুখপাত্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘বিগত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে আমরা যে সহিংসতা দেখেছি, তা দেখে প্রধানমন্ত্রী স্টারমেয়ার গভীরভাবে শোকাহত। আমি আশা করি বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুরক্ষার জন্য এবং বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার ও শান্তিপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জার্মানি
জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘দেশে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বজায় থাকে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন
বাংলাদেশে ‘শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ’ পরিবেশ ফিরুক, চায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
আমেরিকা
অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে আমেরিকা। সেনার অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের তরফে।
জাতিসংঘ
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর সেদেশের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। UN জেনারেল সেক্রেটারি আন্তোনিও গুতেরেস ‘শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের’ প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।
ভারত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও প্রস্থানের পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত।
শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছেন ‘আমরা বাংলাদেশীদের সহনশীলতা ও ঐক্যের উপর বিশ্বাস রাখছি। আশা রাখছি শীঘ্রই সেদেশে শান্তি ফিরবে।’
রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মস্কো আশা করছে খুব দ্রুত সেদেশের রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি শান্ত হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে।’