পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিনও সেই শুনানি হল না। আদালতের নির্দেশ মত মামলার অনেক পক্ষই সংক্ষিপ্তসার জমা দিয়েছে চার সদস্যের নোডাল কাউন্সিলের কাছে। যারা নতুন করে মামলা করেছেন, তাঁদের জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এসএসসির প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালত আগেই জানিয়েছিল, পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে। এই পাঁচ পক্ষ হল রাজ্য, এসএসসি, তদন্তকারী সংস্থা, মূল মামলাকারী ও যাঁদের চাকরি বাতিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সবপক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য নোডাল কাউন্সিল নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য। তবে সংক্রান্ত বহু মামলা হয়েছে এবং চলছে। নতুন করে যারা মামলা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য শুনবে আদালত। সেই কারণে শুনানি পিথিয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত,গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালে এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগের (গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ) প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, বহু যোগ্যদেরও চাকরি চলে যেতে পারে। এরপরই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গড়ায় মামলা।