বঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা

সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা ওড়িশা  থেকে ফের বাংলায়। এই অক্ষরেখা পুরুলিয়া ও কাঁথির ওপর দিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়াও পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে যেটি রাজস্থানের নিম্নচাপের উপর দিয়ে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। আসামের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত।

আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর। এটি দক্ষিণ দিকে ঝুঁকে থাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। এই ঘূর্ণাবর্ত ও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে বৃষ্টি বাড়বে বাংলায়।

পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, সপ্তাহ জুড়েই উপরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। শনি ও রবিবার ফের বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে।

তবে বুধবার ছয় জেলার কিছু অংশে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি বেশি হবার সম্ভাবনা হুগলি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলাতে।

তবে শনি ও রবিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। সব জেলাতেই ওয়াইড স্প্রেইড রেইনের সম্ভাবনা।

বুধবার বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। বাকি তিন জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির প্রভাব। পার্বত্য জেলায় ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে ধস নামতে পারে। পার্বত্য এলাকার রাস্তায় দৃশ্যমান্যতা কমবে। নদীর জল স্তর বাড়তে পারে। নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। একটানা বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমতে পারে।

কলকাতায় মঙ্গলবার মূলত আকাশ ছিল মেঘলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে তিলোত্তমায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি হবে। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল, সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭৯ থেকে ৯৬ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৭ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × four =