বাংলাদেশে অস্থিরতা। তারই জের পড়েছে স্থল বন্দরগুলিতে। অশান্তির আবহে দুই দেশের মধ্য়ে মালপত্র আমদানি ও রফতানি প্রায় সবই বন্ধ। ওষুধ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সবই আটকে রাস্তায়। প্রতিদিন ১৪-১৬ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কী হবে ভারত বাংলাদেশ পণ্য আমদানি-রফতানির ভবিষ্যৎ তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ট্রাক মালিক থেকে ট্রাক চালকেরা। মানিকতলা ক্যানাল রোড সংলগ্ন এলাকায় সারে সারে দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রাক। এদিকে হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দর ও সীমান্তে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ফলে কপালে ভাঁজ এপারের ট্রাক মালিকদেরও কপালে।
বাংলাদেশ থেকে আসা বা ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া মালপত্র রফতানি এবং আমদানি করতে বড় পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে সাহায্য করে লিঙ্ক ট্রাক। এমতাবস্থায় বিপুল ক্ষতির মুখে ট্রাক মালিকরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশে মালপত্র নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন চালকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের বক্তব্য, এর আগেও তাঁরা বাংলাদেশ গিয়েছেন। তখন এমন পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোশিয়েসনের জেনারেল সেক্রেটারি সজল ঘোষ জানান, ‘পেট্রাপোল হোক বা হিলি, মেহেদিপুর, ফুলবাড়ির মতো বর্ডারগুলিতে হাজার দু’য়েক গাড়ি আটকে রয়েছে। মঙ্গলবার ২ থেকে আড়াই ঘণ্টার জন্য বর্ডার খোলা হয়েছিল। সেই সময় এক থেকে দু’ হাজার গাড়িকে পার করানো সম্ভব হয়। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই বর্ডার বন্ধ হয়ে যায়। অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের গাড়ি আটকে পড়েছে। অনেক গাড়িতেই আদা-রসুন-পেঁয়াজ রয়েছে। অনেক ওষুধের গাড়িও আটকে গিয়েছে। এখন কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বোঝা যাচ্ছে না। আমরা আমাদের সংগঠনের তরফে নীতীন গড়কড়ির কাছে দরবার করা হচ্ছে বিষয়টা দেখার জন্য। কারণ ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।’
ট্রাক মালিকরা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন সীমান্তে ২০০টির বেশি ট্রাক বাংলাদেশে আটকে ছিল। বর্তমানে সেই ট্রাকগুলিকে ফিরিয়ে আনা হলেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে চরম অনিশ্চিতার মধ্যে ইন্দো-বাংলা পণ্য পরিবহণ। গোটা দেশজুড়েই ট্রাক অপারেটররা বাংলাদেশের লোডিং নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে নতুন করে নেওয়া হবে না লোডিং, এমনটাই সূত্রে খবর।