কোন কারণে বাদ ভিনেশ জানালেন ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিংয়ের প্রেসিডেন্ট

গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থের মঞ্চে নিয়ম কারও জন্য বদল হচ্ছে না। মঙ্গলবার সোনার পদকের ম্যাচে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন বিনেশ ফোগাট। রুপো নিশ্চিত ছিল তাঁর। কিন্তু রাতারাতি বিনেশের ওজনে হেরফের হওয়ায়, বুধ-সকালে তাঁকে অলিম্পিক থেকে বাতিল করা হয়। দেশবাসী ভিনেশ ফোগাটকে নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করছেন। আইওএর প্রেসিডেন্ট পিটি উষা জানান, ভারতীয় টিমের পক্ষ থেকে এবং ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। এ বার বিশ্ব কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নেনাদ লালোভিচ জানালেন, কোন নিয়মে অলিম্পিক থেকে বাতিল হলেন হরিয়ানার মেয়ে।

ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিংয়ের প্রেসিডেন্ট নেনাদ লালোভিচ বলেছেন, ‘আমাদের নিয়মের সম্মান করতে হবে। ওর সঙ্গে যা হয়েছে তাতে আমি দুঃখিত। ওর ওজন বেড়ে গিয়েছে। অল্প মাত্রায় ওজন বাড়লেও, নিয়ম তো নিয়মই হয়। ওর যে ওজন বেড়েছে তা সকলেই দেখেছে এবং সব অ্যাথলিটরা সেখানে ছিল। যে অ্যাথলিটের ওজন ঠিক নেই, তাঁকে প্রতিযোগিতায় নামতে দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।’

ভিনেশের পদকের এই স্বপ্নভঙ্গের দিনে পাশে পেয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের। একই দিনে ৩টি ম্যাচে জিতে ফাইনালে উঠেছিলেন ভিনেশ। কিন্তু ওই ৩ বাউটের পর তাঁর ৫০ এর জায়গায় ৫২ কেজি ওজন হয়। রাতভর প্রচুর পরিশ্রম করেন। সাইক্লিং, জগিং, স্কিপিং কিছুই বাদ যায়নি। তারপর তিনি ১কেজি ৯০০ গ্রাম কমাতে পারে। ১০০ গ্রাম আর কমেনি। যে কারণে তাঁকে প্যারিস থেকে খালি হাতেই আসতে হবে।

বিশ্ব কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নেনাদ লালোভিচ জানান, অলিম্পিকে কুস্তির ইভেন্টে যাঁরা নামেন, তাঁরা সকলেই জানেন যে তাঁদের ইভেন্টের ২ দিনই ওজন নজরে রাখতে হয়। তিনি মনে করেন, অ্যাথলিটদের নিজেদের প্রকৃত ওজনের বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। অনেক অ্যাথলিট নিজের ওজনের থেকে কম ওজনের বিভাগে লড়াইতে নামেন। অনেক অ্যাথলিট পারফর্ম করার জন্য ৫০ শতাংশ ওজনও কমিয়ে ফেলেন। এই বিষয়গুলো সঠিক বলে মনে করছেন না বিশ্ব কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট।

এর পাশাপাশি নেনাদ লালোভিচ এও জানান, প্যারিস অলিম্পিকে বিনেশের আগে ইতালির এক কুস্তিগিরও ওজনের জন্য ইভেন্টে নামতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘যদি ১০০ গ্রাম বেশি ওজন থাকলে কোনও অ্যাথলিটকে পারফর্ম করার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে ২০০ গ্রাম বেশি থাকা অ্যাথলিটকেও অনুমতি দিতে হবে। আর এটার শেষ থাকবে না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =