দেহদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে শুক্রবার সকাল থেকেই

মরণোত্তর দেহদানের কথা ঠিক ছিল আগেই। আর সেই কারণেই বুদ্ধদেববাবুর দেহদানের আগে শুক্রবার হাসপাতালে জমা দেওয়া হবে অঙ্গীকারপত্র। এরপর দেহ সংরক্ষণ করা হবে হাসপাতালের নির্দিষ্ট কক্ষে। ভবিষ্যতের চিকিৎসক অর্থাৎ ডাক্তারি পড়ুয়াদের গবেষণার কাজে লাগবে সেই দেহ।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রথমে বুদ্ধবাবুর কোনও নিকট আত্মীয় ওই অঙ্গীকারপত্র জমা দেবেন হাসপাতালে। তারপর দেহ সংরক্ষণের জন্য শিরায় প্রবেশ করানো হবে বিশেষ রাসায়নিক। চিকিৎসার ভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয়, এমব্লেমিং। যে কন্টেনারে দেহ সংরক্ষণ করা হবে, তার বাইরেও থাকবে বিশেষ রাসায়নিকের প্রলেপ। দেহদানের প্রক্রিয়ার সময় হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সেই জন্য হাসপাতাল চত্বর পরিচ্ছন্ন করা হয়।

অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপক অভিজিৎ ভক্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চিকিৎসার গবেষণার কাজে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন বলেই এই অঙ্গীকার করেছেন। যথাযথ মর্যাদায় সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। দেহ যেন হবে বইয়ের একটি পাতা।’ কোনও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে না বুদ্ধবাবুর জন্য, তবে চিকিৎসকরা বলছেন, বুদ্ধবাবু সবাইকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন। কীভাবে মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়, সেটাই শিখিয়ে যাবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 3 =