শেয়ার বাজারে নতুন আইপিও নিয়ে ভরসা জোগাতে হাজির সেনকো গোল্ড

জন্মলগ্ন থেকেই সেনকো ছিল এক বিশ্বস্ততার প্রতীক। সেই বিশ্বস্ততা বজায় রেখেই এবার আইপিও নিয়ে হাজির হচ্ছে কলকাতার সেনকো গোল্ড। এর শুরু ৪ জুলাই , মঙ্গলবার থেকেই। বর্তমানে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা নয়া ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে আইপিও-তে বিনিয়োগ করার। এই মুহূর্তে যাঁরা আইপিও-তে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বিষয়টাকে ভাবনা চিন্তার স্তরে রেখেছেন তাঁদের নয়া দিশা দেখাতেই পারে সেনকো গোল্ডের আইপিও। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ জুলাই বাজারে আইপিও নিয়ে হাজির হচ্ছে কলকাতার কোম্পানি সেনকো গোল্ড। এটি সারা ভারত জুড়ে সোনা ও হিরের গয়না প্রস্তুত ও বিক্রয়ের এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবেই প্রসিদ্ধ।

সেনকো গোল্ডের তরফ থেকে মঙ্গলবার যা জানা গেল তাতে  এই আইপিও ১০২ টাকার প্রিমিয়ামে ট্রেড করছে। সেনকো গোল্ডের এমডি তথা সিইও শুভঙ্কর সেনের ধারনা, সবকিছু ঠিকঠাক চললে কোম্পানির লিস্ট ৪০০ টাকার গণ্ডিও পার করবে সহজেই। সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে লাভের মুখ দেখবেন।

এরই রেশ ধরে সেনকো গোল্ডের এমডি এবং সিইও এও জানান, সেনকো গোল্ড আইপিও-এর প্রাইস ব্যান্ড শেয়ার প্রতি ৩০১ টাকা থেকে ৩১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটি শেয়ারের লট সাইজ রয়েছে ৪৭ টি শেয়ার। যার সরাসরি অর্থ হল এই আইপিও-তে বিনিয়োগ করতে হলে একজন বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে ৪৭ টি শেয়ার কিনতে হবে। যার ফলে একজন খুচরো বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে বিনিয়োগ করতে হবে ১৪, ৮৯৯টাকা।

তবে সেনকো গোল্ড আইপিও-এর আইপিওতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে ৪ জুলাই থেকে   ৬জুলাই পর্যন্ত। অর্থাৎ এই তিনদিন এই আইপিও-তে সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। সাবস্ক্রাইবের পর ১১ জুলাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি শেয়ার বরাদ্দ করা হবে ও ১৪ জুলাই শেয়ার বাজারে বিএসই এবং এনএসই-তে লিস্টেড হবে শেয়ারটি।

সেনকো গোল্ড বর্তমানে পূর্ব ভারতে একটি অন্যতম বৃহত্তম জুয়েলারি রিটেইল সংস্থা। তবে এর পথ চলা শুরু ১৯৩৮ সালে। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৮৫ বছর আগে। কলকাতা তখন স্বদেশি আন্দোলনের একটা অন্যতম প্রেক্ষাপট। এমনই এক সময় ১৯৩৮ সালে চিৎপুরে জন্ম গড়ে ওঠে একটি সোনার দোকান। কালক্রমে সেটাই বাঙালির স্বর্ণ ব্যবসার এক পীঠস্থান হয়ে দাঁড়ায়। এরপর পারিবারিক নানা ঘটনায় এর অনেক বিভাজন ঘটলে জনপ্রিয়তায় ছেদ পড়েনি। আর তারই জেরে এখন এই কোম্পানির ১৩৬ টি শোরুম ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের নানা জায়গায়। যার মধ্যে রয়েছে ৬১ টি ফ্রাঞ্চাইজি ও ৭৫ টি কোম্পানির মালিকানাধীন শোরুম। তবে এ প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, কোম্পানির মোট শোরুমের ৬৩ শতাংশই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকার-সহ কোম্পানিটির একটি পাওয়ারফুল ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে। ফলে সেনকো গোল্ডকে একটি বিশ্বস্ত জুয়েলারি ব্র্যান্ড বলেই মনে করা হয়। এদিকে সেনকো গোল্ড এটাও প্রমাণ করতে চায় বাঙালিরাও একটা বড় স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াতে পারে শেয়ার বাজারে। আর তার জন্য যে  ধারাবাহিক লভ্যাংশের একটা আর্থিক ট্র্যাক রেকর্ড দরকার তা আছে সেনকো গোল্ডের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 7 =