বয়সজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।স্বাভাবিকভাবে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির তরফে দুপুরে চক্ষু সংগ্রহের পর থেকেই তা প্রতিস্থাপনের যোগ্য কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। আরআইও’র চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দুই চোখের কর্নিয়াই প্রতিস্থাপন যোগ্য। তবে নিয়মিত চোখের চিকিৎসাও করিয়েছেন বুদ্ধবাবু। চিকিৎসক গৌতম ভাদুড়ি আরআইও’র অধিকর্তা থাকাকালীন চোখের চিকিৎসায় সরকারি উৎকর্ষ কেন্দ্রে চোখ দেখাতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন চোখের কর্নিয়া ছিল ভাল, তাই কোনও অস্ত্রোপচার করাননি। সে কারণেই এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশনেরমতো চোখের সমস্যা থাকার পরও তাঁর চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন যোগ্য, জানায় রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি বা আরআইও। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের কারণে চোখে জল জমার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি কমে আসে।
সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই একজনের চোখে সেই কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার হয়। শুক্রবার সকালে আরেকজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত হবে।
সরকারি হাসপাতালেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যে চিকিৎসা করাতেন সেই প্রসঙ্গ টেনে আরআইও’র এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কর্নিয়ার সফল প্রতিস্থাপনে আমরা গর্বিত। উনি একসময় আমাদের এখানেই চিকিৎসা করাতেন। কর্নিয়াজনিত অসুখে ভোগা দুই রোগীর দৃষ্টিশক্তি ফেরার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’