শেষবারের মতো আলিমুদ্দিনে পৌঁছলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শেষ বিদায়েও বুদ্ধজায়া মীরা ভট্টাচার্যকে দেখা গেল তাঁর পাশে। বাস্তবিকই সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী তিনি। আলিমুদ্দিনে বুদ্ধদেবকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিনে সিপিএম নেতৃত্ব। এই তালিকায় রয়েছেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, বিমান বসু, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বাম আমলের মৎস্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ। পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় বাম কর্মী-সমর্থকদের। শেষবার তাঁকে লম্বা লাইন আলিমুদ্দিনের পাশের রাস্তায়। হুইলচেয়ারে চেপে আলিমুদ্দিনে বুদ্ধদেবকে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে যান ‘কমরেড রবি’ও। সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের কাছে যিনি ‘রবিদা’ নামেই পরিচিত।
এরপর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখান থেকে শুরু হবে শেষ যাত্রা। বিকেল ৪টে নাগাদ শিয়ালদার নীলরতম সরকার মেডিক্য়াল কলেজে হবে দেহদান। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর দেহ দান করা হবে চিকিৎসার গবেষণার কাজে।
বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ শায়িত ছিল পিস ওয়ার্ল্ডে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেখান থেকে দেহ বার করা হয়। বিধানসভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্যরা। পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরা। শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় এক সময় সিপিএমে বুদ্ধদেবের বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত যুবনেতা, অধুনা তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।