গান স্যালুটের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হবে। কিন্তু, শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ বিদায়ে গান স্যালুট দেওয়া গেল না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও গান স্যালুট না দেওয়ার কারণ নিয়ে পরই প্রশাসনিক মহল থেকে জানানো হয়, নিয়মের বাঁধনেই গান স্যালুট দেওয়া গেল না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের খবর পেয়েই পাম অ্যাভিনিউয়ে তাঁর বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধদেবের পরিবারকে সমবেদনা জানান। তিনি ঘোষণা করেন, গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
বৃহস্পতিবার রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা ছিল বুদ্ধদেবের মরদেহ। শুক্রবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়। দশ বছরের বেশি বিধানসভায় শাসক বামফ্রন্টের দলনেতা ছিলেন বুদ্ধদেব। প্রশাসনিক মহল বলছে, বিধানসভায় গান স্যালুট দিলে তার পর কিছু করার নিয়ম নেই। কিন্তু বিধানসভায় গান স্যালুট দেওয়ার পর আবার সেখান থেকে আলিমুদ্দিন, দীনেশ মজুমদার এবং এনআরএস নিয়ে যাওয়া হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ। সেখানে দেহ দান করা হবে। ফলে বিধানসভায় গান স্যালুট দেওয়া সম্ভব নয়। আবার এনআরএসে গান স্যালুট দেওয়া যায় না। এই প্রক্রিয়াগত সমস্যার জেরে গান স্যালুট দেওয়া গেল না বলে প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা। বুদ্ধবাবুর পরিবারও গান স্যালুট চায়নি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেবও বলেন, নিয়ম মতো গান স্যালুট দেওয়ার পর আর কিছু করা যায় না। কিন্তু, বিধানসভা থেকে বুদ্ধবাবুর দেহ আলিমুদ্দিনে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর মিছিল রয়েছে। তাই গান স্যালুট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মরদেহ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে গান স্যালুট দেওয়া হয়েছিল। রেড রোডে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হয়েছিল জ্যোতি বসুকে। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, রেড রোড থেকে সরাসরি জ্যোতি বসুর মরদেহ এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফলে রেড রোডের পর আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। বুদ্ধদেবের ক্ষেত্রে তা হয়নি।