কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত আরজি কর। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। হাসপাতালের সেমিনার হল উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে যে সময় দেহ উদ্ধার হয় সেই সময় তাঁর নিম্নাঙ্গে পোশাক ছিল না। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় তখন নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে মাঠে নামে বাম ছাত্র-যুবরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। শেষে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে দেহ নিয়ে যেতে হয়। সমগ্র ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলেন একগুচ্ছ প্রশ্ন। মীনাক্ষী এদিন সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘যে হাসপাতালে মেয়েটির ডেড বডি পাওয়া গেল সেই হাসপাতালে মেয়েটির ময়নাতদন্ত কী করে হতে পারে? খুনও হবে আমারই হাসপাতালে আর আমিই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঠিক করে দেব? কোথায় আছে সরকার, কোথায় পুলিশ?’ এর পাশাপাশি মীনাক্ষী এও বলেন, ‘আমরা বারবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। পুলিশকে অনুরোধ করেছি। ডিসি সাহেবের কাছে দু’বার গিয়েছি। আমরা বাধ্য হয়েছি ডেড বডির গাড়ি দাঁড় করাতে। শুধু ২ মিনিট বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ দাদাগিরি করল।’
এমনকী ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও তোলেন প্রশ্ন। মীনাক্ষী জানতে চান, ‘যাঁরা এখানে ময়নাতদন্ত করল তাঁরা কারা? সেই লিস্ট দিতে হবে। যাঁরা জুনিয়র তাঁদের নিয়ে ফরেন্সিক রিপোর্ট হচ্ছে? আমরা কাউকে অভিযোগের নিশানার বাইরে রাখছি না। এর ভিতরে বিশাল চক্রান্ত আছে। আমাদের সন্দেহ পুলিশ কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে।’