ছেলে এমন করেছে মানতে রাজি নন মা

আরজি করে ডাক্তার পড়ুয়া ছাত্রীর নৃশংস পরিণতিতে উত্তাল শহর থেকে রাজ্য়। গর্জে উঠেছে সর্ব স্তরের মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠেছে তীব্র প্রতিবাদ। এই আবহে একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসআইটি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন ধৃত। এদিকে ধৃতের পরিবার ধৃত সঞ্জয় সম্পর্কে জানাচ্ছে, তাঁরা একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। ধৃতের মা জানান, ‘আমার ছেলে পুলিশের কাজ করত। সকলেই জানে। পুলিশের কি আর কোনও মর্যাদা আছে? পুলিশকে জুতো মেরে দেয়। লাগাতার সকলে পুলিশকে অপমান করে যায়।’ একইসঙ্গে এও বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে ছেলে সঞ্জয় বাড়িতে এসেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন না তাঁর ছেলে এমনটা করতে পারে। গলা সপ্তমে চড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করে সঞ্জয়ের মা জানান, ‘আমাকে এটা জানতে হবে। এত বড় একটা ঘটনা। আমি একা, কেউ আমার সঙ্গে নেই। আমার ছেলেও একা।’

ধৃতের মাও জানান, এক সময় বাড়িতে চার মেয়ে, এক ছেলে, স্বামী এবং তিনি থাকতেন। ছেলের বিয়েও হয়েছিল। মারাও যান। তবে বৌমা ক্যান্সারের রোগী ছিলেন বলে দাবি ধৃতের মায়ের। এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘একটা বিধবা মায়ের জীবন চলে যাচ্ছে। ছেলেটাকে নিয়ে এসব চলছে। ছেলেটা তো এতদিন বাড়িতেও আসেনি। মেয়েরা খরচ চালায় আমার।’

এদিকে ধৃত সঞ্জয় সম্পর্কে প্রতিবেশীরা জানান, গত ২ বছর বাড়িতে দেখা যায়নি সঞ্জয়কে। সঙ্গে এও জানান, ‘ছেলে একেবারেই ভাল নয়। তবে যা করত বাইরে করত। পাঁচটা বিয়ে করেছে। কেউ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কাউকে নিয়ে আসছে। এটাই বাস্তব ঘটনা।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − six =