আরজি করের ঘটনায় ৭ জনকে তলব লালবাজারে

জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, হাউজ স্টাফ মিলিয়ে সোমবার মোট সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। লালবাজার সূত্রে খবর, চারজন সেদিন ডিনার করেছিলেন। বাকিরা সেদিন ডিউটিতে ছিলেন। তাঁদের সকলের সঙ্গেই তদন্তকারীরা আগে হাসপাতালে কথা বলেছিল। প্রয়োজনে তাঁদের মঙ্গলবার আবারও ডাকা হতে পারে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ডেডলাইন দিয়েছেন রবিবার। বলেছেন, ‘রবিবারের মধ্যে কিনারা না করতে পারলে সিবিআইকে দিয়ে দেব।’

পুলিশের দাবি, তাঁরা একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তবে এর সঙ্গে আরও কেউ আছে কি না, ঘটনাস্থলে দ্বিতীয় কেউ ছিল কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। পাশাপশি এও দেখা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে না থাকলেও পিছন থেকে কেউ ইন্ধন দিয়েছিল কি না? এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না, ধৃতকে কেউ পাঠিয়েছিল কি না, সেসব দিকগুলিও এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শুধু চতুর্থ তলেই নয়, এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের অন্যান্য ফ্লোরে কারা কারা ঘটনার দিন ডিউটিতে ছিলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারীরা বলেই খবর। সূত্রের দাবি, শেষ এক মাসে ধৃত হাসপাতালের কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন, কত রোগী ভর্তি করেছেন, সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা বলে খবর। ডিএনএ স্যাম্পেলিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

সোমবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এসআইটির সদস্যরা। হাসপতালের বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ শেষ বলেই লালবাজার সূত্রে খবর। সেই সব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে কর্মরত সিভিক এবং পুলিশ মিলিয়ে রবিবার ৫ জনের স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁরা সঞ্জয়কে আগে থেকে চিনত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =