আরজি কর কাণ্ডে বেশ কিছু তথ্য যা ভাবাচ্ছে সবাইকেই

ইন্টার্নের ফোনকলের ভাইরাল অডিয়ো ঘিরে জোরাল প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছে এই বিস্ফোরক তথ্য। রাত ডিউটিতে থাকলে নাকি কে কোথায় থাকে,  কোথায় বিশ্রাম করে,  সে সব বিষয়ে একাধিকবার হাসপাতালে গিয়ে রেইকি করেছে সঞ্জয়! সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে গত ৩০ দিনের সিসিটিভির ফুটেজ ক্ষতিয়ে দেখা শুরু করল পুলিস। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্ততিও।

এই নারকীয় ধর্ষণকাণ্ডে তাহলে শুধু একা সঞ্জয় নয়, আরও অন্য কেউ জড়িত তা নিয়ে চলছে জল্পনা। প্রশাসন কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।  এর মধ্যে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে যেখানে কথোপকথনেই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হচ্ছে, ‘অনুমান করছি এটা এক ইন্টার্নের কাজ, যাঁর রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ, নাম নিতে পারব না। আমারই সমস্যা হয়ে যাবে।’ যদিও কারও নাম নেওয়া হয়নি ওই অডিয়ো ক্লিপে।

এমনকী তদন্তে’কীর্তিমান’ সেই সঞ্জয়কে সম্পর্কে উঠে আসছে নয়া তথ্য। আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে সূত্রে ধরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল চেস্ট মেডিসিনের ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে সে যাচ্ছে সেমিনার হলের দিকে। সেই সেমিনার হলে খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহের পাশে পড়েছিল একটি সাদা রঙের হেডফোন। পুলিশ সিসি ক্যামেরা দেখে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করার পরেই ব্লু টুথটা কানেক্ট করার পরেই দেখা যায় সেটা সঞ্জয়ের। গ্রেফতারের পরেও দেখা গিয়েছে সঞ্জয় ভাবলেশহীন। কোনও অনুশোচনা নেই। যখন তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গাড়িতে তুলছিল তখনও দেখা গিয়েছে একেবারে উদ্ধত হাবভাব। তদন্তকারীদের বলে, ‘আমি ফাঁসি দিয়ে দিন’।

তদন্তে উঠে এসেছে, গভীর ঘুমের মধ্যেই আরজিকরের ওই চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। উল্লেখ্য আরজিকর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে হাড়হিম করা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ। ম্যাটরেসে মেলে শুকনো রক্তের দাগ। মৃতার গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। ডাক্তারি পড়ুয়ার দুই চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মুখে রক্তের দাগ। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন। যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ। যৌনাঙ্গের কাছে মেলে চুলের ক্লিপ। নির্যাতিতার পেটে মেলে আঘাতের চিহ্ন। ডান হাতে ও আঙুলেও মেলে আঘাতের চিহ্ন। গলার হাড় ছিল ভাঙা অবস্থায়। ঠোঁটেও আঘাতের চিহ্ন। সেমিনার হলে অর্ধনগ্ন দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় পোশাক, ল্যাপটপ ও ব্যাগ। দেহের পাশে মেলে ভাঙা চশমাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − thirteen =