বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেড়েছে। হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলেও সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছেই। কারণ, কাঁটাতারের কাছে মাঝে-মধ্যেই ভিড় করছেন বাংলাদেশের বহু নাগরিক। তাই নাইট ভিশন ক্যামেরা বসিয়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। তবে শুধুমাত্র স্থলপথে নয়, জলপথেও এবার নজরদারি বাড়াল ভারত।
সূত্রে খবর, জলপথে আন্তর্জাতিক সীমায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কোস্ট গার্ডের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোস্ট গার্ডের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পঙ্কজ ভার্মা জানিয়েছেন, দু থেকে তিনটি স্ট্রিপে নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। স্পর্শকাতর অংশগুলিতে চালানো হচ্ছে এয়ার কুশন ভেসেল ও ইন্টারসেপ্টর বোট। এছাড়া হলদিয়া, পারাদ্বীপে ও গোপালপুরে রাখা হয়েছে কোস্টাল সারভ্যাইল্যান্স র্যাডার। ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে নজরদারি। এছাড়া চারটি বড় জাহাজ, হোভারক্রাফট, ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে বাংলার জলসীমা ধরে। এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছেন ডিআইজি পঙ্কজ ভার্মা।
এর পাশাপাশি সব মৎস্যজীবীদের নৌকাগুলিকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। বাংলা ও ওড়িশার যে নৌকাগুলি নিয়মিত জলে নামে, সেগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
অনুপ্রবেশের আশঙ্কা যেমন স্থলপথে আছে, তেমনই নদীপথে আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বহু নৌকা জলসীমার কাছে যায়। দুই দেশের নৌকাই জলে নামে মাছ ধরতে। ফলে, সেখান দিয়ে অনুপ্রবেশ হতে পারে বলেই এই সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।