আরজি করের ঘটনার গতিপ্রকৃতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার পর্যন্ত কলকাতা পুলিশকে টাইম দিতে চাইলেও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সে সময় দিতে একেবারেই রাজি নন। মঙ্গলবারই আরজি করে তিলোত্তমা হত্যার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন। নির্দেশ পেতেই মাঠে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরইমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে এল পোস্ট। তাঁরা যে সর্বতভাবে সিবিআইয়ের পাশে আছেন, সহযোগিতা করলেও প্রস্তুত তা লিখে পোস্ট করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। একইসঙ্গে সঙ্গে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর বিষয়েও ফের একবার সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরজি করে তিলোত্তমার মৃত্যুর পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন উঠেছে। একজনকে ধরা হলেও পিছনে আরও একাধিক ব্যক্তি রয়েছে কিনা, পুলিশ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে নেটিজেনদের তরফ থেকে। যদিও কলকাতা পুলিশের কমিশনের এ সব দাবিই বারেবারে নসাৎ করেছেন। এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করতেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতা পুলিশের তরফে লেখা হয়, ‘আরজি কর হাসপাতালের ছাত্রীর সাম্প্রতিক মর্মান্তিক মৃত্যুর মামলার তদন্তে আদ্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে কলকাতা পুলিশ। যার ফলে চার দিনেরও কম সময়ে মামলাটির তদন্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় হাইকোর্টের আদেশে আমরা এখন মামলার সমস্ত নথি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। মৃতার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সবরকম সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রসঙ্গত, এদিনই আরজি কর কেসে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। বুধবারই দিল্লি থেকে কলকাতা আসছে সিবিআইয়ের টিম। সূত্রের খবর, আসছে তাঁদের নিজস্ব ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। সিবিআই সূত্রের খবর, বুধবারই শিয়ালদহ আদালতে অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আবেদন করবে সিবিআই। তবে কেস ডায়েরি ইতিমধ্যেই যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে তা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) মুরলিধর শর্মা। তিনিও সিবিআইকে সহযোগিতার কথা বলেছেন।