নারী আন্দোলনকে একযোগে আক্রমণ দুই তৃণমূল নেতার

স্বাধীনতার মধ্য়রাতে যখন মহিলাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে পথে নামার কথা বলেছেন তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ঠিক সময় আবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য মহিলার আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করলেন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। বামেরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করায় দুই তৃণমূল নেতাই বিঁধেছেন তাঁদের। একজন বললেন , ‘বাম-রাম আরাজনীতির মোড়কে রাজনীতি করছে। সেলফি তুলতে যাবেন না’ তো আর একজন ‘লাল হায়না’ বলে কটাক্ষ করলেন।

তৃণমূল যুব নেতা লেখেন, ‘মহিলাদের রাতের দখল নিয়ে শুভেচ্ছা রইল। শুধু খেয়াল রাখবেন, রাত দখলের প্রতিবাদের আগুন যেন অন্যের রাজনৈতিক রুটি সেঁকার জায়গা না হয়ে ওঠে। লাল হয়নারা কিন্তু হাইজ্যাক করার অপেক্ষায় বসে আছে।’

এদিকে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘কিন্তু বহু ধর্ষণ,খুন যাদের জমানায়,সেই সিপিএম,বিজেপি-র বকলমা ইভেন্টে যাবেন না। কিছুকাল আগে যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যু। কোথায় ছিল বামেরা? সিসিটিভ লাগানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন। বামেরা কী করেছিল? আরজি কর কুৎসিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা সবাই সরব। রামবাম অরাজনীতির মোড়কে রাজনীতি করছে। সেল্ফি তুলতে যাবেন না।’ এখানেই শেষ নয়, ‘কুণাল আরও আরজি কর প্রতিবাদ আমরা সবাই করছি। কিন্তু বামরাম মুখোশ পরে রাতে পথনাটিকা করবে। তাতে সামিল হবেন না। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে।’

উল্লেখ্য, রাতে পথ দখলের আন্দোলন মূলত কোনও রাজনীতির রঙ ছাড়া। সেখানে পতাকাবিহীন রাজ্যের হাজার-হাজার মহিলা আরজি করের নিকৃষ্ট এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হবেন বলে ঠিক করেছেন। খাস কলকাতার যাদবপুর, অ্যাকাডেমি ও কলেজ স্ট্রিটে প্রাথমিকভাবে আন্দোলন শুরুর কথা ঘোষণা করা হলেও ধীরে ধীরে সারা রাজ্যজুড়ে রাত্রিবেলা মহিলারা পথে নামবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। তবে এরই মধ্যে দেখা যায়, মধ্যরাতে আরজি করে সিপিআইএমের ছাত্র যুব মহিলারা বিক্ষোভের ডাক দেন। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর মহিলারা একই বিষয়কে ব্যবহার করে এবার আরজি কর-এর মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। এরপর দেখা যায় ধীরে ধীরে বিজেপি কংগ্রেসও মহিলাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =