প্রচার তালিকায় নাম থাকলেও মঙ্গলবার মায়ের শারীরিক অসুস্থার জেরে তৃণমূলের প্রচারে গেলেন না তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকেই পঞ্চায়েতের প্রচারে নেই সায়নী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। শুক্রবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার ও রবিবারও তৃণমূলের ভোট প্রচারে ছিলেন না সায়নী। ছিলেন না ইডির জিজ্ঞাসাবাদের আগের দুদিনও। আর একইভাবে সোমবারও তৃণমূলের প্রচারক তালিকায় ঠাঁই ছিল না সায়নীর। অর্থাৎ মোটের উপর গত প্রায় পাঁচদিন ধরে প্রচার তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। তবে মঙ্গলবারে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া এলাকায় কর্মসূচিতে নাম রাখা হয় তাঁর। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রচারে বাদ দেওয়া হয়নি। তবে ব্যক্তিগত কাজে আটকে থাকার জন্যই প্রচারে আসেননি সায়নী। এরপর মঙ্গলবারে প্রচার তালিকায় নাম থাকলেও প্রচারে গেলেন না তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। জানিয়েছেন,‘মায়ের শরীর ভাল নয়।’
গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত টানা ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতর থেকে বেরিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। জিজ্ঞাসাবাদের ধকল সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। আমি দিয়েছি। ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি তদন্তে।‘ এরপর তাঁকে ফের ৫ জুলাই ফের ইডি জেরার জন্য তলব করেছে। প্রসঙ্গত, বুধবারই সায়নীকে হাজিরা দিতে হবে ইডি দপ্তরে।