দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হল শান্তনু সেনকে। সম্প্রতি আরজি কর ইস্যুতে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। সেখানকার পড়াশোনা রসাতলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এই কারণেই নাকি খেসারত দিতে হল শান্তনুকে, এমনটাই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। তবে, তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, দল মনে করেছে তাই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের যে মুখপাত্রদের তালিকা রয়েছে সেখান থেকে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা বেশ কয়েকদিন আগেই করা হয়েছে। আরজি করের যে ঘটনা চলছে, সেটা শুরু হওয়ার পরপরই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বেহালার মিটিং থেকে জানিয়েছেন অনেকটাই। এরপর আমার উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিনে মিডিয়ার সামনে উনি যে বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন সেই বক্তব্য ওনার নিজের। দল সমর্থন করে না।’
প্রসঙ্গত, আরজি করে ‘তিলোত্তমা’ মৃত্যুর পর তাঁর বাবা-মা অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা তাঁদের আগেই জানিয়েছিলেন নাইট ডিউটিতে সমস্যা হয়। তাঁর সেই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকে আরজি কর-এ নাইট ডিউটিতে পাঠাবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। এরপর শান্তনু সেনও সেখানকার পড়াশোনার ব্যাপারে অভিযোগ তোলেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আরজি করের প্রাক্তনী। আমার মেয়ে সেখানে পড়ে। আরজি করে মেডিক্যাল এডুকেশন গত কয়েক বছরে রসাতলে গিয়েছে। কয়েক জনকে খুশি করতে পারলে প্রশ্ন জানা যায়। উত্তর হাতে নিয়ে হলে ঢোকা যায়, টোকাটুকি করা যায়।’ পরে যদিও তিনি বলেন, আরজি কর ইস্যুতে আর মন্তব্য করবেন না। তবে বিষয়টিকে বোধহয় ভালভাবে নেননি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেহালার কর্মসূচি থেকে তৃণমূলনেত্রী নাম না করে বলেন, ‘কয়েক জন বলছেন, তাঁরা মুখপাত্রের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। জেনে রাখুন, আমরা তাঁদের আগেই সরিয়ে দিয়েছি। তাঁরাও এই চক্রান্তে ছিল।’ এরপর দেখা যায় সরানো হয়েছে শান্তনুকে।