পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক নিউটাউন বাসিন্দাদের

বিশ্ব বাংলা গেট, সেন্ট্রাল মল, সিটি সেন্টার ২, অ্যাক্সিস মল, টেকনো পলিস এখনও এই সবই পঞ্চায়েত এলাকা। শুধু এইগুলোই নয়, এনকেডিএ বা হিডকোর অফিসও পঞ্চায়েত এলাকার মধ্য়েই পড়ে। আর সেই কারণেই স্মার্ট সিটি নিউটাউন জুড়ে এবার পোস্টার পড়ল ভোট বয়কটের। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউটাউনের বাসিন্দাদের উদ্যোগেই পড়েছে এই পোস্টার। কারণ, এনকেডিএ  ও হিডকো পরিচালিত এই অঞ্চলটিতে যে মানুষগুলো দশ বা তারও উঁচুতলা বাড়িতে থাকেন তাঁদের এ ব্যাপারে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। যেমন, তাঁরা কীভাবে পঞ্চায়েতের ভোটার হন। আর সেই কারণেই বেশ কয়েকজন নিউটাউনের আবাসিক তাঁরা ডাক দিয়েছেন ভোট বয়কটের। এদিকে সূত্র যা বলছে তাতে মূলত, জ্যাংড়া হাতিয়াড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে শহর নিউ টাউনের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন রয়েছে। সেখানকারই প্রায় ১২ হাজার বাসিন্দা ডাক দিয়েছেন এই ভোট বয়কটের। সঙ্গে বাসিন্দারা এও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নিউটাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথারিটির অধীনে সমস্ত রকম সুবিধা পেতেন। বর্তমানে চ্যাংড়া হাতিয়ারা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চলে আসে নিউটাউনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কেউ আবার জানান, ‘আমরা উন্নয়নই চাই। তার জন্য যদি ট্যাক্স দিতে হয় তাও দেব। কিন্তু তা বলে পঞ্চায়েত নয়। মানুষ অগ্রগতির দিকে যায়, নিম্নগতির দিকে নয়।‘ বাসিন্দারে এক অংশ বিস্মিতও। তাঁদের বক্তব্য, ‘স্মার্ট সিটি হঠাৎ করে কীভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতে চলে এল জানি না। কার মাথায় এসেছে তাও জানি না। আমরা পঞ্চায়েতের ট্যাগ চাইছি না। সেই কারণে আমরা চাইছি না নিউটাউন ভাঙড় হয়ে যাক। এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বাস করি আমরা।’ একইসঙ্গে স্থানীয়রা এও জানিয়েছেন, এখানে সব এনকেডিএ করে। তাই এখানে পঞ্চায়েতের কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরই  বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর নিয়ে আবেদনও করেন পুর নগরোন্নয় এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে। দাবি একটাই নিউটাউন যেন পঞ্চায়েত না হয়।

তবে এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নেতা আফতাবউদ্দিনের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। তিনি জানান, ‘যাঁরা বিরোধিতা করছেন,তাঁরা ঠিক করছেন না। এই এলাকাটায় একটা সমস্যা রয়েছে। এটা যদি পুরসভা-পঞ্চায়েত না হয় তাহলে জনপ্রতিনিধি তৈরি হবে না। এখানে মাত্র তেরো হাজার ভোট। তাই পুরসভার অন্তর্ভূক্তি হবে না।‘ এদিকে সিপিএম নেতা সপ্তর্ষি দেবের বক্তব্য একেবারেই ভিন্ন। তিনি জানান, ‘একটি সুপার আরবান সিটিকে পঞ্চায়েতে রাখা মোটেই কাম্য নয়। এটা পার্টির পক্ষ থেকে সমর্থন করিনি। আমরাই প্রথমে বলেছিলাম এই এলাকাকে পুরসভা করার প্রয়োজনীতা রয়েছে।‘ পাশাপাশি বিজেপি নেতা ভাস্কর রায়ও জানান, ‘এনকেডিএ-র আবাসিকদের অনেক বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। নিউটাউন প্ল্যাটিনাম সিটি। গুরুগ্রামও পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যেই পড়ে। তার পরিষেবা এখানকার পরিষেবার থেকে আকাশ পাতাল তফাৎ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =