১৫ অগাস্ট প্রতি বছরই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এটাই রীতি। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল–সহ একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে রাজভবন যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে আরজি কর প্রসঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রাখেন তাতে স্পষ্ট হযে যায় বুধবার রাতে আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় মমতা নিশানায় ‘রাম–বাম’। স্পষ্ট বলেন, ‘আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, আমি ছাত্রছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক যারা বাংলায় অশান্তি করতে চান, বাম এবং রাম একত্রিত হয়ে এই গণ্ডগোলটা করেছে।’
এদিন বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, আরজি করের সেমিনার হলে পিজিটি ছাত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তিনিও অপরাধীর কঠোর শাস্তি চান। তবে একইসঙ্গে মমতা বলেন, ‘ বুধবার আরজি করে যে ক্ষতি হয়েছে, যারা এই তাণ্ডব করেছে তারা কিন্তু আরজি করের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। আমার যত দূর মনে হয় আউটসাইডার। বিজেপি ছিল। কারও হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা। আমার কাছে তিনটে ভিডিয়ো আছে দেখেছি।’
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা, মায়ের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করেছিলেন, রবিবার পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে দিয়ে দেবেন। সোমবার তাঁদের বাড়িও যান। এরইমধ্যে আদালত সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দিয়ে দিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোর্ট সিবিআই যেমন বলেছে, একইসঙ্গে বলেছে, যারা পরিষেবা দিচ্ছে না তারা কাজে যোগ দিন। আমাদের তরফ থেকে বহুবার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অনুরোধ জানিয়েছেন। আমিও অনুরোধ করেছি যতটা সম্ভব। বৃহস্পতিবারও অনেকে পরিষেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরছেন। তাঁদের ক্ষমতা নেই। বিনা পয়সায় হাসপাতালে চিকিৎসা পান। মারা গিয়েছেন কয়েকজন শুনলাম। বাচ্চা থেকে প্রসূতি মা বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন শুনলাম। চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তবে কিছু জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র কোথাও কোথাও এমার্জেন্সি করছেন। আমি তাঁদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।’