বুধবার গভীর রাতে যখন শহরে-গ্রামে রাজপথে নেমেছিলেন মহিলারা, প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল গোটা রাত, তখনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল বর্ধমানের নান্দুর গ্রামে। বাড়ির কাছেই উদ্ধার হল তরুণীর গলার নলি কাটা দেহ। মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন তিনি। দুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন তিনি। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর একটি শপিং মলে কাজ করেন নান্দুরের ঝাপানতলা এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা। সন্ধ্যায় পাশের বাথরুমে যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বের হন তিনি। বেশ খানিকক্ষণ পর ফিরে না আসায় আশঙ্কা তৈরি হয়। খোঁজাখুঁজির পরে বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই তার গলা কাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়।এই ঘটনার পরে বর্ধমান থানা ও শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্ত প্রাথমিক স্তরে আছে।
এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে, এই দাবিতে বর্ধমান থানা ঘেরাও করেন আদিবাসীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদিবাসী সংগঠনগুলির তরফে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা জমায়েতে অংশ নেন। রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায়, আদিবাসী সংগঠনের নেতা মহাদেব টুডু বলেন, ‘ফুলের মতো নার্সিং কলেজের ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে আমরা ব্যথিত। আমরা চাই অবিলম্বে দোষীকে গ্রেফতার করা হোক। কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’