সামনে এল আরজি করের বিশৃঙ্খল অবস্থার ছবি, আদালতের হুঁশিয়ারি হাসপাতাল বন্ধ করার

গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাণ্ডব-ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ৷ সেই মতো শুক্রবার রাতেই আরজি করে ভাঙচুরে তথ্য সংগ্রহে নামে সিবিআই৷ শিয়ালদহ আদালতে গিয়ে হামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা৷

সিবিআই সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের তরফে কতগুলো এফআইআর হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কত জন গ্রেফতার হয়েছে বা সিসিটিভি ফুটেজ কিছু রয়েছে কি না তা জানতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। একইসঙ্গে  মামলায় কী সাক্ষ্য উঠে এসেছে সে ব্যাপারেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে সিবিআই৷

উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সিবিআইকে তদন্তে সবুজসঙ্কেত দেয়।পুরো হামলার ঘটনার অ্যাসেসমেন্ট করে রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এরপরেই শুক্রবার বিকেলে শিয়ালদা কোর্টে যায় সিবিআই দল৷

এদিকে সিবিআই-এর মুখোমুখি হওয়ার আগে এ দিন রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনাটি ওঠে আদালতে৷ এই প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির মুখে এ দিন আরজি কর হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও শোনা যায়৷ ক্ষুব্ধ বিচারপতিরা বলেন, ‘আমরা এবার হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেব৷ সব রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হবে৷’ হাসপাতালে কত জন রোগী ভর্তি রয়েছেন,** তাও জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ গত বুধবার রাতে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা৷ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায় তারা৷ অভিযোগ ওঠে, ধর্ষণ খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটও এই হামলার উদ্দেশ্য হতে পারে৷ যদিও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ খারিজ করেছে কলকাতা পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =