আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পথে নামলেন শহরের নাট্যব্যক্তিত্বরা৷ শনিবার রাতে মিছিল করে আরজি কর হাসপাতালে সামনে পৌঁছন নাট্যব্যক্তিত্বরা৷ যদিও এ দিনের মিছিলকে কেন্দ্র করে আরজি কর হাসপাতালের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল৷
সূত্রে খবর, আরজি করে নির্যাতিতা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে এ দিন মিছিলের ডাক দেন নাট্যকর্মীরা৷ পাশাপাশি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোরও বার্তা দেন তাঁরা৷ আরজি করের সামনে পৌঁছনোর পর নাট্যকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করেন৷
এদিকে শনিবারের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অনির্বাণ চক্রবর্তী, পৌলমী চট্টোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার, সৌরভ পালধীর মতো বহু নাট্যব্যক্তিত্ব৷ আরজি কর কাণ্ডের নিন্দা করে অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘শহরের নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত। শুধু যে ধর্ষক এবং খুনি নয়, এই ঘটনার সঙ্গে যদি আর কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলে তাদেরও যেন যথাযথ শাস্তি হয়।’ নাট্যব্যক্তিত্ব পৌলমী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘একজন মেয়ের মা হিসেবে আমি এই ঘটনার কথা ভেবে শিউরে উঠছি৷ ওই মেয়েটির বাবা মার কী অবস্থা তা আমি ভাবতে পারছি না।’
গত বুধবার রাতেও আরজি কর হাসপাতাল চত্বর সহ গোটা রাজ্য জুড়ে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। যদিও ওই কর্মসূচির মাঝেই আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় একদল উন্মত্ত জনতা জনতা। হাসপাতাল জুড়ে তাণ্ডব চালায় তারা, চলে ভাঙচুর৷ এই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়েই শনিবার রাতে অবশ্য নাট্যকর্মীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে বিপুল বাহিনী মোতায়েন করে কলকাতা পুলিশ৷ তবে শনিবার রাতে শুধু আরজি করের সামনে নয়, সিঁথি থেকেও আরজি কর কাণ্ডে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়৷ এর পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত ভাবে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গত ১৪ অগাস্ট রাতের মতো প্রতিবাদ মিছিল, জমায়েতের আয়োজন করেন সাধারণ মানুষ৷