গত এক বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার হয়েছেন নেতা, মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এবার সেই অভিযোগ একেবারে হাইকোর্টের অন্দরে। মঙ্গলবার যে বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর কাছেই অভিযোগ এল খোদ হাইকোর্টের কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ শুনে ডেপুটি শেরিফকে এজলাসে ডেকে অবিলম্বে সেই কর্মীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম স্বপন জানা। তিনি হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের কারেন্ট রেকর্ড ডিপার্টমেন্টের কর্মী। এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির অভিযোগ, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি হবে বলে তাঁর কাছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সঙ্গে এও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তাঁকে টাকা দিলে তবেই চাকরি হবে, এমনই নাকি বলেছেন স্বপন জানা।
শুধু তাই নয়, মামলা ফাইল করে যাতে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য দু দফায় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হরেকৃষ্ণ রণজিৎ নামে বেহালার ওই বাসিন্দা। এরপরও ঘটনা একই জায়াগা দাঁড়িয়ে থাকায় সন্দেহ হয় ওই দৃষ্টিহীন ব্যক্তিৎ। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। মঙ্গলবার এই অভিযোগ সামনে আসার পরই শুনে ডাকা হয় ওই কর্মীকে। তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে অভিযোগকারী টাকা দেওয়ার প্রমাণ পেশ করেন। অনলাইনে টাকা পাঠানোর নথিও দেখান। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ে নির্দেশে এদিন ডেপুটি শেরিফের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। রেজিস্ট্রার ভিজিলেন্স-এর কাছে ওই কর্মীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।