আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আর সেই কারণেই পলিগ্রাফ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিবিআই। এখনও বেশ কিছু তথ্য অধরা, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এ বিষয়ে প্রথমে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল, তারপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে সিবিআই সূত্রে এমনটাই খবর।
একাধিক তথ্যে অসঙ্গতি। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত তথ্য বা বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল, সেই বয়ানের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের যে বয়ান নেওয়া হয়েছিল, তার তথ্যে অমিল রয়েছে। নতুন করে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য বা বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। সেই সমস্ত বয়ান রেকর্ড করার জন্যই সোদপুরের নির্যাতিতার বাড়িতে এদিন যায় সিবিআই টিম।
সিবিআই সূত্রে খবর, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবারের বয়ানের ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হবে এবং মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত তথ্য এখনও অধরা বা অমিল, সেই সমস্ত তথ্য আবারও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, আরজিকরে সেমিনার রুমে পরপর দুদিন থ্রি ডি স্ক্যানিং করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে একাধিক পায়ের ছাপ, হাতের ছাপ রয়েছে। কিন্তু প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাৎ ঘটনাস্থলে থ্রি ডি স্ক্যানিং করে তদন্তকারীরা অনেকটাই হতাশ বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে তদন্তকারীরা সূক্ষ সূক্ষ সূত্র তুলে আনেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে এত বেশি হাতের-পায়ের ছাপ রয়েছে যে সেখানে থেকে সূক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। কলকাতা পুলিশের তরফে আগে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ সকাল সাড়ে নটায় প্রথম এই দেহ দেখতে পাওয়া যায়, তারপর পুলিশের কাছে যে খবর যায়। তার মাঝের সময়ে এত জন ওই হলে ঢুকেছেন, তাতে প্রমাণ সংগ্রহ করতে অসুবিধা হচ্ছে তদন্তকারীদের। কোনটা অভিযুক্তের হাতে-পায়ের ছাপ, সেটা খোঁজা কার্যত খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতনই।